Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ২৬ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ১১ ১৪৩২

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২৬, ২৫ জুন ২০২১
আপডেট: ১৪:৪১, ২৫ জুন ২০২১

পরীমণির যেমন কর্ম তেমন ফল, এখন বলে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই: নির্মাতা ঝন্টু

সম্প্রতি আলোচনায় আসা জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণির কড়া সমালোচনা করেছেন বিশিষ্ট চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। তিনি বলেন, পরীমণির সঙ্গে যা ঘটেছে, 'সেটা ওর প্রাপ্য ছিল। যেমন কর্ম, তেমন ফল। এখন কান্দে আর বলে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।'

পরীমণিকে উদ্দেশ্য করে ঝন্টুর প্রশ্ন, ‘ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কেন চাইবে? প্রধানমন্ত্রীর কি খেয়েদেয়ে আর কোনো কাজ নেই? তিনি কি আমাদের এগুলো নিয়ে বসে থাকবেন! এখন আমরা মিডিয়াতে প্রায়ই দেখি, কারো কোনো সমস্যা হলেই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চান। প্রধানমন্ত্রী কি আমাদের বিচার করার জন্য আসছেন, নাকি দেশ চালানোর জন্য আসছেন? তিনি কী করবেন একা?’

নির্মাতা বলেন, মদ খায় কেন একটা মেয়ে? বয়স কত? ২৫ বছরও তো হয় নাই! ওর পক্ষে কথা বলার মুখই তো আমাদের নাই। আমি যে ওর পক্ষে কথা বলব, কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে যে, রাত ১২টার সময় মদ খেতে ক্লাবে যায় কেন আপনাদের মেয়ে, ক্লাবে গিয়ে নাচানাচি আর ভাঙচুর করে কেন? এটার উত্তর আমি কী দেব? এর উত্তর তো আমার কাছে নাই। উত্তর একটাই, স্যরি।’

পুরোনো জনপ্রিয় নায়িকাদের উদাহরণ টেনে ঝন্টু বলেন, ‘আমাদের দেশে পরীমণির চেয়েও অনেক ভালো নায়িকা শাবানা, ববিতাসহ আরও যারা ছিল, তারা কি কখনো ড্রিংক করেছে? রাত ১২টার সময় ক্লাবে গেছে? তাহলে পরীমণি যায় কেন?’ এ প্রজন্মের মাহিয়া মাহি ও শবনম বুবলীদের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এদের সম্পর্কে তো কিছু শুনি না। পরীমণির নামে এতকিছু শুনি কেন? দোষটা কার? আমি তো বলব, ও দোষ না করলেও দোষ ওরই।’

তিনি বলেন, ‘মিডিয়ার মানুষদের এমনিতেই বেশিরভাগ মানুষ পছন্দ করেন না। অন্য চোখে দেখেন। সেসব মানুষদের ভাবনাটাকে আমাদের মেনে নিতে হবে। তার মধ্যে পরীমণির বিষয়ে যা শুনতেছি, সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করলে আমরা লজ্জা পাই। সে গভীর রাতে ক্লাবে গিয়ে নাচানাচি করে, মদ খেয়ে পড়ে থাকে। এটা আমাদের কাছে লজ্জার ব্যাপার। ওর সম্পর্কে অনেক কথা বলতে পারি, কিন্তু বলব না। কারণ সেটা আমাদের ঘাড়েই পড়বে, আমাদের মেয়ে।’

পরীমণির সঙ্গে তিনি কখনো কাজ করবেন না উল্লেখ করে ঝন্টু বলেন, ‘পরীমণিকে নিয়ে ছবি করার অনেক শখ ছিল। মেয়েটা দেখতে সুন্দর, ফিগার ভালো। কিন্তু এখন যদি কোনো প্রযোজক পরীমণিকে নিয়ে ছবি করতে বলে আমি বলব, না, ওর কাছে যাবো না। ওর ইমেজ শেষ। ওকে দেখে আর কেউ টিকিট কাটবে না। ওর অনেক কিছু জেনে গেছে, অনেক কিছু দেখে ফেলেছে মানুষ। কত নোংরা নোংরা ছবি ফেসবুকে আসতেছে। এগুলোর পর ওর ইমেজ আর আছে নাকি?’

বহু সফল ছবির এই চিত্রনাট্যকার আরও বলেন, ‘নায়িকাদের দর্শক স্বপ্নের নায়িকা মনে করে। কিন্তু স্বপ্নের নায়িকার সবকিছু যদি ফেসবুকেই দেখা যায়, তাহলে তো স্বপ্নটা শেষ। স্বপ্নের ঘুম ভেঙে গেছে। তাই, যে নায়িকা চলচ্চিত্রকে প্রাধান্য দেয় না, সে অন্যখানে প্রাধান্য দিচ্ছে ডেফিনেটলি।’ চলচ্চিত্রটাকে পরীমণি একটা সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে বলেও মন্তব্য করেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।

উল্লেখ্য, এর আগেও একবার এমন কড়া সমালোচনা করেছেন নির্মাতা ঝন্টু। তখন অবশ্য পরীমণি নয়, উঠেপড়ে লেগেছিলেন দীঘির পিছনে। তিনি দীঘিকে 'দুই পয়সার মেয়ে' বলে উল্লেখ করে সারাদেশে সমালোচিত হয়েছেন। অবশ্য তার এই কথার উত্তরও দিয়েছিলেন দীঘি।

আইনিউজ/এসডি

Green Tea
বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ