আইনিউজ ডেস্ক
আপডেট: ১২:০৬, ৫ ডিসেম্বর ২০২০
চীনকে গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার জন্য হুমকি বলছে যুক্তরাষ্ট্র
ছবি: অনলাইন
চীন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি সারা বিশ্বের চোখেই ধরা পড়ছে। ট্রাম্প শাসনামলে এই সম্পর্ক চরম উত্তেজনায় পৌঁছেছে। নির্বাচন শেষ হলেও চীনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের কথা রয়ে গেছে।
এবার যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান জন র্যাটক্লিফ চীনের প্রতি অভিযোগ তুলে বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চীন গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকায় মতামতধর্মী এক নিবন্ধে জন র্যাটক্লিফ একথা লেখেন।
ওই নিবন্ধে র্যাটক্লিফ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি চুরি করে চীন তাদের ক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে এবং বিশ্ববাজার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে হটিয়ে দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক বলেন, চীন এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতের জন্য তৈরি হচ্ছে। চীনের এখন লক্ষ্য অর্থনীতি সামরিক এবং প্রযুক্তিকে বিশ্বে তাদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন, চীন যে ‘অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তিতে’ লিপ্ত রয়েছে তার লক্ষ্যই হচ্ছে চুরি, নকল এবং হুবহু পণ্য তৈরি। প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মেধা-স্বত্ব চুরি হচ্ছে। প্রযুক্তি চুরির জন্যে এফবিআই গোয়েন্দাদের হাতে অনেক চীনা নাগরিক আটক হচ্ছেন।
র্যাটক্লিফ লিখেছেন, শুধু আমেরিকা নয়, অন্যান্য অনেক দেশই এখন চীনের কাছ থেকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। চীন বিশ্বাস করে বিশ্ব ব্যবস্থার শীর্ষে তাদের না থাকা ঐতিহাসিকভাবে ভুল এবং অন্যায়। সেই বাস্তবতা তারা বদলাতে চায়।
তিনি বলেন, চীনারা যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেস অর্থাৎ পার্লামেন্ট সদস্যদের ওপর প্রভাব বিস্তারে ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোকে চীন প্রভাবিত করছে যাতে তারা যেন চীনের ব্যাপারে নমনীয় অবস্থান নিতে স্থানীয় রাজনীতিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। তবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় চীন বলেছে, র্যাটক্লিফের কথা 'মিথ্যার ফুলঝুরি'।
শুক্রবার তাদের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেন, মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের লেখা নেহাতই ‘স্পর্শকাতর একটি শিরোনাম’ এবং কোনো কথারই কোনো প্রমাণ র্যাটক্লিফ দেননি।
চীনা মুখপাত্র বলেন, আমরা আশা করি মার্কিন রাজনীতিকরা সত্যকে মর্যাদা দেবেন, ভুয়া সংবাদ তৈরি এবং বিক্রি বন্ধ করবেন। রাজনৈতিক ভাইরাস এবং মিথ্যা ছড়িয়ে চীন-মার্কিন সম্পর্ক নষ্ট করার প্রয়াস বন্ধ করবেন। না হলে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা আরও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
আইনিউজ/এইচএ
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’
- পঙ্গপাল না মেরে বিক্রি করে আয় করছেন কৃষকরা!