আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপডেট: ২২:৫৬, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১
এক বছর পর নতুন সরকার পেল লেবানন
নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি
রাজধানী ও বন্দরনগরী বৈরুতে ভয়াবহ একটি বিস্ফোরণের পর পদত্যাগ করেছিল লেবাননের তৎকালীন সরকার। ঘটনার এক বছরে ঘনীভূত হয়েছে দেশটির সংকট। এমন পরিস্থিতিতে অবশেষে নতুন সরকার পেল লেবানন। শুক্রবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন লেবাননের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি নাজিব মিকাতি। এর আগেও দুই দফায় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এই ধনকুবের। দীর্ঘ রাজনৈতিক সংকট শেষে নতুন মন্ত্রিসভার নামও ঘোষণা করা হয়েছে।
২০২০ সালের ৪ আগস্ট বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব পদত্যাগ করার পর থেকে দেশটি স্থায়ী সরকারবিহীন অবস্থায় চলছিল। ওই বিস্ফোরণে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। আহত হন অন্তত ছয় হাজার মানুষ। চারপাশ ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়। ক্ষতির পরিমাণ ছিল শত কোটি ডলার।
এরপর থেকে দেশটির মুদ্রার মান তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। প্রকট হয়েছে বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতি। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। বৈরুত বিস্ফোরণের আগে থেকে বিগত দুই বছর ধরে দেশটির মানুষ আমূল রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন।
করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিল লেবানন। ফলে সংকট আরও ঘণীভূত হয়। ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয় মানুষের মধ্যে। ক্ষুব্ধ মানুষজন রাস্তায় দুর্নীতি, অযোগ্যতা ও রাজনৈতিক আনুগত্যের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন।
২০১৯ সালের শেষদিকে লেবাননে অর্থনৈতিক সংকট শুরুর পর থেকেই দেশটির মানুষের মধ্যে এই ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে। বিবিসি বলছে, গত কয়েক মাসেই লেবানিজ মুদ্রা ৯০ শতাংশ মূল্যমান হারিয়েছে। অপরদিকে দেশটির এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এখনো বাস করছে দারিদ্র্যসীমার নিচে। পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।
বিবিসি বলছে, বিরোধী দল মনোনীত টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা সম্ভবত একটি উদ্ধার প্যাকেজে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনার পথ সুগম করবে। লেবাননের নাজুক সাম্প্রদায়িক ক্ষমতা ভাগাভাগির ব্যবস্থা হাসান দিয়াবের পদত্যাগের পর সরকার গঠনের প্রচেষ্টা বারবার রুদ্ধ করে দিয়েছে।
১৯৭৫-৮৯ সালের গৃহযুদ্ধ পর এবারই রাজনৈতিক ক্ষমতা বহু সম্প্রদায়ের মধ্যে সূক্ষ্মভাবে ভারসাম্য রাখার চেষ্টা হয়েছে। যেখানে প্রেসিডেন্ট খ্রিস্টান, প্রধানমন্ত্রী সুন্নি মুসলিম এবং স্পিকার শিয়া মুসলিম। মন্ত্রী মনোনয়ন নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং জোটের সন্তুষ্টি বিবেচনায় একটি সমঝোতায় আসায় পুরো প্রক্রিয়াটি আটকে ছিল।
আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী শুক্রবার লেবাননের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি, প্রেসিডেন্ট মিচেল ওউন এবং স্পিকার নাবিহ বেরির উপস্থিতিতে শুক্রবার লেবাননের নতুন সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি ও নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করে ডিক্রি জারি করা হয়।
আইনিউজ/এসডিপি
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’
- পঙ্গপাল না মেরে বিক্রি করে আয় করছেন কৃষকরা!