Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ২৬ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ১১ ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১৫, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
আপডেট: ২২:৩৫, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

মৃত্যুদণ্ড-হাতকাটার মতো কঠোর শাস্তি ফিরছে আফগানিস্তানে

নূরউদ্দিন তুরাবি

নূরউদ্দিন তুরাবি

তালেবানের একজন প্রতিষ্ঠাতা এবং ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদের তালেবান শাসনে আফগানিস্তানে কঠোর শাসন বাস্তবায়নের প্রধান হোতা মোল্লা নূরউদ্দিন তুরাবি বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড এবং হাত কেটে ফেলার মতো কঠোর সব শাস্তি ফিরিয়ে আনা হবে আফগানিস্তানে।

মার্কিন বার্তা সংস্থা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোল্লা নূরউদ্দিন তুরাবি অতীতে তালেবানের প্রকাশ্য ফাঁসির ঘটনায় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হওয়ার অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন। কখনো কখনো স্টেডিয়ামে জনতার সামনেই তারা অপরাধীদের ফাঁসি দিত। তুরাবি বিশ্বকে আফগানিস্তানের নতুন শাসকদের ওপর হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধেও সতর্ক করেছেন।

তুরাবি এপিকে বলেন, ‘সবাই স্টেডিয়ামে প্রকাশ্যে শাস্তির ঘটনার জন্য আমাদের সমালোচনা করেছিল, অথচ আমরা কখনোই তাদের আইন এবং তাদের শাস্তি সম্পর্কে কিছু বলিনি’।

‘আমাদের আইন কী হওয়া উচিত তা কেউ বলে দিতে পারে না। আমরা ইসলাম মেনে চলব এবং কোরআনের ভিত্তিতে আমাদের আইন তৈরি করব’।

তালেবানরা গত ১৫ আগস্ট কাবুল এবং এরপর পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ দখল করার পর থেকে, আফগান জনগণ সহ পুরো বিশ্ববাসী তাকিয়ে আছে যে তারা আবারও ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদের কঠোর শাসন ফিরিয়ে আনে কিনা।

তুরাবির মন্তব্যগুলো থেকে বোঝা যায় যে, কীভাবে তালেবানের শীর্ষ নেতারা এখনো গভীরভাবে রক্ষণশীল রয়ে গেছে, কট্টর বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে আবদ্ধ আছে। যদিও তারা ভিডিও এবং মোবাইল ফোনের মতো প্রযুক্তিগত পরিবর্তনগুলো গ্রহণ করে নিয়েছে।

তালেবান শাসনের প্রথম আমলে অপরাধীকে গুলি করে হত্যা করা হত। চুরি বা কম মাত্রার অপরাধে শাস্তি দেওয়া হত একটি হাত বা একটি পা কেটে নিয়ে। সবই হত প্রকাশ্যে।

তুরাবি আফগানিস্তানের আইনমন্ত্রী এবং কারাগারের ভারপ্রাপ্তও ছিলেন তালেবান শাসনের প্রথম আমলে। এবারও তার হাতে একই দায়িত্ব বর্তাবে কি না, তা তালেবান এখনও জানায়নি। তবে প্রাক্তন তালেবান আইনমন্ত্রী নিজেই আগ বাড়িয়ে তালেবানের নতুন আইন নিয়ে এসব কথা বলেছেন।

তালেবান শাসনের প্রথম আমলে কঠিন আর নৃশংস আইন বলবৎ করার জন্য কুখ্যাত ছিলেন নুরউদ্দিন। সে সময় আফগানিস্তানে খুনের অপরাধীদের প্রকাশ্যে গুলি করেও হত্যা করা হত। হত্যা করতেন নিহত বা নিগৃহীতের পরিবারের মানুষ। সবার সামনেই অপরাধীদের হাত-পাও কেটে নেওয়া হত। বড় খেলার মাঠ বা স্টেডিয়ামের ভেতরে দেওয়া হত সেই শাস্তি। নুর অবশ্য আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, ‘এ বার হাত-পা কাটা হলেও তা জনসমক্ষে হবে না’।

আইনিউজ/এসডিপি 

Green Tea
সর্বশেষ