Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ৭ ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:০৪, ২ জানুয়ারি ২০২২

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে সিঙ্গাপুর

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ তৈরি করতে অতি প্রয়োজনীয় খাতগুলোতে অভিবাসী শ্রমিক নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সিঙ্গাপুর। শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং নতুন বছরের শুভেচ্ছা বার্তায় অভিবাসী শ্রমিক নেওয়ার এই ঘোষণা দেন।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সিঙ্গাপুর অতি প্রয়োজনীয় অভিবাসী কর্মীদের নিয়ে আসবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মেধাবী কর্মীরা যাতে সিঙ্গাপুরে এসে সমাদৃত বোধ করেন, সেটি নিশ্চিত করা হবে।

একই সঙ্গে তারা সিঙ্গাপুরবাসীর পরিপূরক হয়ে উঠবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুন- করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গে কড়া বিধিনিষেধ, বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ

সিঙ্গাপুর সাধারণত বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও ফিলিপাইন থেকে শ্রমিক, দক্ষ জনশক্তি ও পেশাজীবীদের নিয়ে থাকে। কোভিড-১৯ মহামারিতে বিপর্যস্ত দেশটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে এই চার দেশ থেকে কর্মী নিয়োগের ইঙ্গিত দিয়েছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি। তবে কোন দেশ থেকে কত সংখ্যক কর্মী নেওয়া হতে পারে সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি। 

লি সিয়েন বলেছেন, ২০২২ সাল হবে রূপান্তরের সময়। দেশের অর্থনীতি দৃঢ়ভাবে পুনরুদ্ধার হচ্ছে এবং এই নগর রাষ্ট্র বাকি বিশ্বের সাথে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করছে।

আগামী বছর সিঙ্গাপুরের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৩ থেকে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা করে লি বলেন, নতুন কোনো বাধা ছাড়াই সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ঘটবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সাথে ধাপে ধাপে। দেশটির সরকার ‘দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য অর্জনের জন্য আগাম পরিকল্পনা নিয়েছে’ বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন- ইনফ্লুয়েঞ্জা আর করোনা মিলে নতুন ‘ফ্লোরোনা’

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, বিদ্যমান শক্তি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য শিল্পখাতে রূপান্তরের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে সিঙ্গাপুর। এর পাশাপাশি দেশের সব কোম্পানি পুনর্গঠন এবং কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করা হবে।

সিঙ্গাপুরের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ওমিক্রনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছি। সে কারণে আমরা কিছুটা আত্মবিশ্বাসী হতে পারি যে, সামনে যে ধরনের বাধাই আসুক না কেন আমরা তা মোকাবিলা করব।

মহামারি পরবর্তী অর্থনীতিতে অবশ্যই নতুন প্রবৃদ্ধি, নতুন কর্মসংস্থান তৈরি এবং সমৃদ্ধি আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে স্থিতিশীল বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরিবেশের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে এবং এর কেন্দ্রে থাকবে মার্কিন-চীন সম্পর্ক।

লি সিয়েন বলেন, বৈশ্বিক এই দুই শক্তির বিভাজন অনেক বেশি ও গভীর। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে এ দুই দেশের সাম্প্রতিক উচ্চ-পর্যায়ের তৎপরতা এবং বাস্তবিক সহযোগিতা বেশ উৎসাহব্যাঞ্জক।

তিনি বলেন, ‘আমাদের জনগণের কল্যাণের জন্য আমরা ২০২২ সালের প্রথম দিনে কার্যকর হওয়া আঞ্চলিক ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বসহ বাণিজ্য উদারীকরণ এবং আঞ্চলিক একীভূতকরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’

আরও পড়ুন- আরব আমিরাতের সবুজ তালিকায় নেই বাংলাদেশের নাম

চীনের নেতৃত্বে বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্যিক এই ব্লকে ১০টি সদস্য দেশ রয়েছে। ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বমূলক এই ব্লকে রয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, জাপান, লাওস, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।

বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ এশিয়ার নগর রাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে কাজের সন্ধানে যান। করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর বাংলাদেশি কর্মীদের সিঙ্গাপুরে রফতানি হ্রাস পায়। ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে মাত্র ১০ হাজার ৮৫ জন কর্মী সিঙ্গাপুরে যান।

এরপর গত বছরের মে মাস পর্যন্ত দেশটিতে ১২ হাজার ১৩৯ জন বাংলাদেশি শ্রমিক গেছেন। মহামারির কারণে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ থাকায় এর পর থেকে আর কোনো কর্মী সিঙ্গাপুরে পাঠানো যায়নি।

আইনিউজ/এসডিপি

আইনিউজ ভিডিও

মাইকে ঘোষণা দিয়ে মৌলভীবাজারের সরকার বাজারে শতশত মানুষের সংঘর্ষ

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাগাবালায় পুননির্বাচন চান আওয়ামী লীগসহ তিন প্রার্থী

রাজনগর উপজেলার তাহার লামুয়া নতুন ভোট কেন্দ্র, ভোট দিয়ে উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী

Green Tea
সর্বশেষ