Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ৬ ১৪৩২

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:৫৫, ৩০ জানুয়ারি ২০২২
আপডেট: ০১:১১, ৩০ জানুয়ারি ২০২২

পাল্টাপাল্টি অবস্থানে রাশিয়া এবং ন্যাটো

ইউক্রেন-রাশিয়া উত্তেজনা গড়াচ্ছে কোন দিকে

রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন করা হচ্ছে অতিরিক্ত সেনা

রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন করা হচ্ছে অতিরিক্ত সেনা

পশ্চিমা দেশগুলো যদি তাদের আক্রমণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি না বদলায়, তাহলে যথাযথ পাল্টা সামরিক-কারিগরি ব্যবস্থা নেয়া হবে - পুতিন

ইউক্রেন নিয়ে শুধু ইউরোপেই নয়, গোটা বিশ্বে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। একদিকে যেমন রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় লাখখানেক সৈন্যের সমাবেশ ঘটিয়েছে তেমনি আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররাও। ইউক্রেনে যেকোনো সামরিক হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিচ্ছে ন্যাটো অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো। গত কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম ইউরোপ আবার একটি বড় আকারের যুদ্ধের মুখোমুখি হচ্ছে এমন আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ব মানচিত্রে রুশ-ইউক্রেন সীমান্ত

এদিকে ক্রেমলিন থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বার্তা না পেলেও এর আগে বেশ কয়েকবার ইউক্রেনের সীমান্ত দখলের অভিযোগ উঠেছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে।  রাশিয়া বহুদিন ধরেই চেষ্টা করছে, ইউক্রেন যাতে কোনভাবেই ইউরোপীয় ইউনিয়নে না যায়। তাদের আরও আপত্তি ন্যাটো জোট নিয়ে। ইউক্রেন এখনও ন্যাটো জোটের সদস্য নয়। কিন্তু পূর্ব ইউরোপের আরও অনেক সাবেক কমিউনিস্ট দেশের মতো, ইউক্রেনও সেই পথে চলেছে বলে মনে করছে রাশিয়া। 

মার্কিন জেনারেল মিলি ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে এক লক্ষাধিক রুশ সৈন্যের ঘাটি তৈরি করাকে কোল্ড ওয়ারের পর সবচেয়ে বড় বলে মনে করছেন। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছেন, কূটনীতির মাধ্যমে এখনও সংঘাত এড়ানো যেতে পারে। তবে রাশিয়া এ আক্রমণের পরিকল্পনা অস্বীকার করে দাবী করছে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন হুমকিস্বরূপ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে পশ্চিমা দেশগুলো যদি তাদের আক্রমণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি না বদলায়, তাহলে "যথাযথ পাল্টা সামরিক-কারিগরি' ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মনে করেন, একটা সংঘাতের বাস্তব সম্ভাবনা আছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ধারণা রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাশিয়া কেন ইউক্রেন সীমান্তের কাছে এত সৈন্য পাঠিয়েছে, তার কোন ব্যাখ্যা তারা দেয়নি। বেলারুশেও রাশিয়ার সৈন্যরা যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ধারণা, রাশিয়া এ বছরের প্রথম ভাগেই কোন এক সময়ে ইউক্রেনে ঢুকবে। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বর্তমান সংকটকে কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ১৯৬২ সালের সেই সংকটের সময় যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রায় একটি পরমাণু যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছিল।

শুক্রবার পেন্টাগনে এক সংবাদ সম্মেলনে  মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সবচেয়ে সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল মিলি বলেন, ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে রাশিয়ান বাহিনীর ঘাটি তৈরীর অর্থ হল তাদের যেকোনো আক্রমণের ফলাফল গুরুতর হওয়া।

জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফের চেয়ারম্যান বলেছেন, "যদি ইউক্রেনের উপর সামরিক হামলা চালানো হয়, তবে এর ফলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হতাহতের ঘটনা ঘটবে।"

এদিকে ইউক্রেনের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেকোনো সামরিক আক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের নিজেকে রক্ষা করার প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করছে দেশটির সরকার।

তথ্যসূত্র : বিবিসি

আইনিউজ/এমজিএম

 

আইনিউজ ভিডিও

প্রাণ দেবো, তবু ভিসির পদত্যাগ চাই` | কাফন মিছিলে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা | Eye News

শিক্ষার্থীরা লড়ছে মৃত্যুর সাথে, অসুস্থদের অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে

মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আমরণ অনশন চালাচ্ছেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

উত্তাল শাবিপ্রবি, শিক্ষার্থীদেরে মশাল মিছিল

Green Tea
সর্বশেষ