Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২১ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ৬ ১৪৩২

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ১ মার্চ ২০২২

রাশিয়া-ইউক্রেন : সামগ্রিক পরিস্থিতি

পুরো বিশ্ব যখন করোনা মহামারির মত বিপর্যয় কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠছিল ঠিক তখনই রুশ প্রেসিডেন্টের ইউক্রেন দখলের ঘোষণা সবার কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ এনে দেয়। এরই মধ্যে ইউক্রেনে হামলা চালানো, বেসামরিক নাগরিক হত্যাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখলও করে ফেলেছে রাশিয়ান বাহিনী.

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ইউক্রেন-রাশিয়া উত্তেজনাকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি আগাম বার্তা হিসেবে দেখানো হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে বেড়ে গিয়েছে জ্বালানী তেলের দাম। তাছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলগুলোও সংকেত দিচ্ছে অর্থনৈতিক সংকটের। আমদানি-রপ্তানির হারও তুলনামূলকভাবে কমছে বলে দাবি করছে তারা। মহামারী করোনায় ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বৈশ্বিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে যেখানে হিমশিম খেতে হচ্ছে মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে, সেখানে এরকম পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে সাময়িক বা দীর্ঘমেয়াদী দূর্ভিক্ষ।

ইতিমধ্যে রাশিয়ার বাজারেও দেখা দিচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি, বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। বাণিজ্যিক খাতে নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর থেকে এমন অবস্থা দেখা দিয়েছে রাশিয়ার অনেক শহরে। বাণিজ্য ছাড়াও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন উচ্চপদস্থ রুশ কর্মকর্তারা। অপরদিকে ন্যাটোসহ বিভিন্ন গোত্রের সহায়তার আশ্বাস পেলেও ইউক্রেনে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে।

এদিকে আল-জাযিরা, বিবিসি, সিবিএস নিউজের মত আন্তর্জাতিক অনেক গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে জাতিভেদ বা রেসিজমের অভিযোগ। এসব গণমাধ্যম ইউক্রেনের শরণার্থীদের আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাক বা ইয়েমেনের শরণার্থীদের থেকে ভিন্ন চোখে দেখছে বলে অনেকেই দাবী করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যের এসব দেশও একসময় ইউরোপীয়ান দেশগুলোর মতই শান্তিপূর্ণ ছিল। আমেরিকা ও রাশিয়ার একের পর এক হামলায় এসব দেশের অবস্থা আজ করুণ।

তাছাড়া অনেকে বলছেন এসব গণমাধ্যম একপাক্ষিক খবর ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করছে সাধারণ মানুষকে।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারির প্রথম দিক থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে সেনাবাহিনীর মহড়া শুরু করে রাশিয়া। লক্ষাধিক সেনা জড়ো হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হওয়া আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই ইউক্রেন দখলের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একে একে স্থল, জল ও আকাশপথে হামলা চালানো শুরু করে রুশ বাহিনী। নিহত হন শতাধিক সামরিক-বেসামরিক মানুষ। ক্ষেপনাস্ত্র হামলা শুরুর পর থেকেই কিয়েভসহ অন্যান্য অনেক শহরের মানুষ দেশ ছাড়তে শুরু করেছেন। আশ্রয় নিচ্ছেন পার্শ্ববর্তী দেশ পোল্যান্ডে। অনেকেই দেশের জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতিও নেওয়া শুরু করেছেন।

আইনিউজ/এমজিএম

Green Tea
সর্বশেষ