Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ০৯ মে ২০২৫,   বৈশাখ ২৬ ১৪৩২

রিপন দে

প্রকাশিত: ০০:৩৮, ২২ জুন ২০২০
আপডেট: ১৪:৩২, ২২ জুন ২০২০

এবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে চলে এসেছে তিমি

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনা সংকটের কারণে মানুষের বিচরণ কমে গেছে, সাগরে নেই বড়বড় জাহাজ-নৌকা। সেই সাথে কমেছে মাছ ধরার নৌকা। আর এই সুযোগে বঙ্গপোসাগর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণী। কিছুদিন আগে কক্সবাজারে দেখা গেছে ডলফিনের দল। এবার টেকনাফ উপজেলার বড়ডেইলের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন মারিশ বনিয়া এলাকায় দেখা মিলল ছোট আকারের একটি তিমির।

ব্রিডস হোয়েল প্রজাতির এই তিমিটি সুমুদ্রে সৈকতে এসে আটকা পড়লে, স্থানীয়রা অচেনা কোন প্রজাতির ডলফিন ভেবে তা সাগরে ফিরিয়ে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত ১৪ জুন। তবে প্রথমে সবার ধারণা ছিল ডলফিন বা বিরল কোন সামুদ্রিক মাছ। পরে এর ভিডিও দেখে বিশেজ্ঞরা ২১ জুন নিশ্চিত করেন এটি ব্রিডস হোয়েল প্রজাতির তিমি।

কথা হয়- সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আ.ন.ম মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে। তিনি বলেন- গত ১৪ জুন আমাদের সংগঠনের টেকনাফ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দীন চৌধুরী টেকনাফ সৈকতে এই তিমির বাচ্চাকে দেখে। ডলফিন ভেবে আমাকে সাথে সাথে ফোনে জানায়। কিন্তু ধারণকৃত ভিডিওটি আজ সংগ্রহ করে পাখনা এবং পেট দেখে অনুমান হয় এটি ডলফিন নয়- বরং ব্রিডস হোয়েল প্রজাতির তিমি মাছের বাচ্চা। যার পাখনা, লাল পেট ও মাথার পাশ দিয়ে শ্বাস ফেলার ভিডিওটি বিভিন্ন মেরিন বিশেজ্ঞদের সাথে শেয়ার করলে তারা এটি সামুদ্রিক তিমির বাচ্চা বলে নিশ্চিত করেন। তিমির বাচ্চার উপস্থিতির কারণে মা তিমি সাগরের এই অঞ্চলের নিকটে কোথাও অবস্থান করতে পারে ও সকলের সতর্ক থাকা উচিৎ বলে মত প্রকাশ করেন।

পরিবেশ সাংবাদিক হোসেন সোহেল বলেন, আমি একাধিকবার বঙ্গোপসাগরের সোয়াস অফ নো গ্রাউন্ডে গিয়েছি সংবাদের প্রয়োজনে। সর্বশেষ ২ বছর আগে একটি তিমির পরিবার দেখেছি সেখানে। সেই দেখার সাথে টেকনাফে ভেসে আসা তিমির মিল রয়েছে।

ওয়াল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটির প্রাক্তন মেরিন প্রোগ্রাম ম্যানেজার সুপ্রিয় চাকমা আই নিউজকে বলেন- এটি তিমি। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন অংশের এই বেল্টে তিমি অবস্থানের পূর্বের রেকর্ড আছে। ২০১৮ সালের সার্ভেতে তিমি পাওয়ার রেকর্ড আছে। এই তিমিটির নাম Bryde's Whale ব্রিডস হোয়েল। সৈকতে জীবিত তিমি আসার রেকর্ড নাই।

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজ আই নিউজকে বলেন, ভিডিও দেখে নিশ্চিত হয়েছি এটি তিমি। প্রাপ্ত বয়ষ্ক একটি তিমি প্রায় ৩০/৪০ ফুট লম্বা হয়ে। টেকনাফের এটি ১০ ফুটের মত লম্বা হবে। তিনি বলেন- চলমান করোনা সংকটের কারণে সাগরে জাহাজ চলাচল, মাছ ধরার নৌকা এবং মানুষের উপস্থিতি না থাকায় তিমিটি চলে আসছে। করোনাকালে আমরা দেখেছি সব প্রাণীরা মানুষের অত্যচার থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের মত বিচরণ করছে। এর আগে ডলফিন এসেছিল সৈকতে। একটু স্বস্তি পেলে প্রাণীরা যে তাদের মত করে চলতে পারে তার প্রমাণ এই তিমির আগমন।

জাগোনিউজের সৌজন্যে ভিডিওটি দেখুন>>>> 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়