শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
আপডেট: ১৬:৩৭, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১
তিনদিনের ছুটিতে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়
বিটিআরআইয়ে পর্যটকদের ভিড়
করোনাভাইরাসের কারণে বেশ কিছুদিন ধরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তেমন লোকসমাগম ছিল না। তবে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলে টানা তিনদিনের ছুটিতে সেখানে এখন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। এরই মধ্যে বুকিং হয়ে গেছে সব হোটেল–রিসোর্টের প্রায় ৯০ শতাংশ কক্ষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পর্যটন স্পটগুলোতে নানা বয়সের মানুষের ঢল। শ্রীমঙ্গলের সারি সারি চা-বাগানের নয়নাভিরাম দৃশ্য মুগ্ধ করে পর্যটকদের। বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই), চা জাদুঘর, বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, হাইল হাওর, বাইক্কা বিল, বার্ড পার্ক, নীলকণ্ঠ সাত রঙের চা–কেবিন, চা-কন্যা ভাস্কর্য, বধ্যভূমি-৭১, কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক,হামহাম জলপ্রপাতসহ নানা স্পট ঘুরে দেখছেন দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা।
এর পাশাপাশি রয়েছে শ্রীমঙ্গলের লাল পাহাড়, শংকর টিলা, গরম টিলা, ভাড়াউড়া লেক, ব্রিটিশদের সমাধিস্থল ডিনস্টন সিমেট্রি, টিপরাছড়া গলফ মাঠ, সুদৃশ্য জান্নাতুল ফেরদৌস মসজিদ, হিন্দুদের তীর্থস্থান সুপ্রাচীন নির্মাই শিববাড়ি ভ্রমণেও যাচ্ছেন পর্যটকেরা।
চা বাগান
চা-বাগানঘেরা শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের উঁচু-নিচু পাহাড়ের টিলা ঘেঁষে এখানে গারো, খাসি, ত্রিপুরা,মণিপুরিসহ নানা জাতিগোষ্ঠীর বাস। চা-বাগান আর মণিপুরিপাড়ায় রয়েছে মণিপুরি হস্তশিল্পের বিশাল মেলা। পর্যটকেরা এসব জায়গায় ঘুরে ক্যামেরায় বন্দী করে নিচ্ছেন নিজের ছবিগুলো। পরিবার-পরিজন নিয়ে এসব স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা।
গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পর্যটকেরা পরিবার পরিজন নিয়ে পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। চা-বাগানের ভেতরে পর্যটক তাদের মনের মতো করে ছবি তুলছেন।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
ঢাকা থেকে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে আসা শাহীন আহমেদ বলেন, একসঙ্গে তিন দিনের ছুটি পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন তিনি। সঙ্গে তার স্ত্রী ও সন্তানরাও এসেছেন। আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখছেন তিনি।
রিয়াদ হায়দার নামের এক পর্যটক বলেন, করোনার কারণে দেশের বাইরে এখন ঘুরতে যাওয়া যাচ্ছে না। তাই এ সময়ে শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে এসেছেন তিনি। এর আগেও তিনি কয়েকবার শ্রীমঙ্গলে এসেছিলেন। শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক পরিবেশ বারবার তাকে এখানে টেনে নিয়ে আসে।
পর্যটন সেবা সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক ও গ্রীনলিফ গেস্ট হাউস এর স্বত্বাধিকারী এস কে দাশ সুমন বলেন, এমনিতেই শীতের সময় শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকেরা এখানে আসেন প্রকৃতির একটু কাছে থাকতে। করোনার কারণে এখন বিদেশি পর্যটক আসছেন না। কিন্তু দেশের ভ্রমণপিপাসু মানুষ এখানে ঘুরতে আসছেন। টানা তিন দিনের ছুটির কারণে সপ্তাহখানেক আগ থেকে হোটেল-রিসোর্ট বুকিং হওয়া শুরু হয়েছে। আজ শ্রীমঙ্গলের ৯০ শতাংশ হোটেল–রিসোর্ট হাউসফুল। এভাবে রুম বুকিং হলে আমরা করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব।
আইনিউজ/এস.এম/এসডিপি
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
- করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক