নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ২৩:০৬, ১২ এপ্রিল ২০২১
জুড়িতে সাফারি পার্ক নির্মাণ: হুমকির মুখে স্থানীয়দের ভিটেমাটি ও ঐতিহ্যবাহী কমলা চাষ
স্থানীয়দের মানববন্ধন
সম্প্রতি মৌলভীবাজারের জুড়িতে সাফারি পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর এই পার্কের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে সাড়ে তিন শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি, চাষযোগ্য জমি। একইসাথে ধ্বংসের মুখে ঐতিহ্যবাহী কমলার চাষ ও উৎপাদন।
সাফারি পার্কের ফলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে স্থানীয় কমলার উৎপাদন। স্থানীয় এসব সম্পদ রক্ষার দাবি নিয়ে রোববার (১১ এপ্রিল) কমলা চাষি, জরিছড়া, লালছড়া, রুপাছড়া, ডোমাবাড়ী গ্রাম ও স্থানীয় শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, সাফারি পার্ক নির্মাণে ৪টি গ্রামের ৩৬৪টি পরিবারের বসতবাড়ি এবং তাদের রোজগারের মাধ্যম কমলা, বাতাবিলেবু, জাম্বুরা, আদালেবু, হাতকরাসহ লেবুজাতীয় কৃষি ফসলি বাগান হুমকির মুখে পড়বে।
তারা জানান, সরকার অত্রাঞ্চলের কমলাচাষিদের সমন্বয়ে ওই এলাকার কমলা শিল্প হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়। এ লক্ষ্যে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার তৎকালীন মো. মোস্তাফিজুর রহমান (এনডিসি) লাঠিটিলার কমলা বাগান পরিদর্শন করে যান। সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, আমাদের এলাকায় সাফারি পার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে বিভিন্ন ধরনের জরিপ/ সার্ভে কার্যক্রম শুরু হয়। এতে প্রাথমিকভাবে আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি। সপ্তাহ খানেক পর যখন আমরা জানতে পারলাম স্থানীয় এই গ্রামবাসীকে উচ্ছেদ করে এখানে একটি সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হবে।
ইতোমধ্যেই এ খবর পেয়ে রুপাছড়া ও লালছড়ায় দুইজন লোক হার্টএট্যাক করেছেন বলেও জানান তারা।
বক্তারা বলেন, শতবর্ষের সাজানো বাড়ি, ঘর, কৃষি ফসলি বাগান ছেড়ে তাদের জীবিকা ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে হুমকির মধ্যে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রস্তাবিত সাফারি পার্ক নির্মাণ হলে সেটা আমাদের এলাকার বৃহত্তর উন্নয়নের স্বার্থে একটি মাইলফলক বলে আমরা মনে করি। আমাদের লাঠিটিলা বিটের মোট আয়তন ৫৬৩১.৪০ হেক্টর। তন্মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিএন্ডবি সড়কের দিলখুশা বাজার ইসলামাবাদ চা বাগান সীমানা থেকে উত্তর দিক দিয়ে জরিছড়া লালছড়া ও রুপাছড়া গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ রয়েছে মোট ৩৬৪টি পরিবার। এছাড়াও তিনটি মসজিদ, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। পরিবারের মধ্যে প্রায় ৩৫০টি পরিবারই কৃষিনির্ভর। প্রতিদিন গড়ে ৪ শতাধিক লোক ৪টি গ্রামের মধ্যে শতাধিক বর্ষের পুরানো প্রতিষ্ঠিত কমলা, আদা, জাম্বুরা, বাতাবিলেবু, হাতকরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির কৃষি ফসলি বাগানে কর্মে নিয়োজিত।
তারা আরও জানান, এইসব বাগানের উপর নির্ভর করে ৪ গ্রামের মানুষজন। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের পড়াশোনার খরচও এর মাধ্যমেই চালান। সাফারি পার্কের জন্য স্থানীয়দের উচ্ছেদ করা হলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে।
এছাড়াও, সাফারি পার্কের চাহিদার ১০০০ একর জমির চেয়ে কয়েকগুন বেশি পতিত জমি উক্ত চার গ্রামের শেষ সীমানা থেকে উত্তর ও পূর্বদিকে রয়েছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
আইনিউজ/এসডি
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
- করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক