Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ১৪ মে ২০২৫,   বৈশাখ ৩০ ১৪৩২

প্রকাশিত: ১৭:২০, ১৫ মে ২০১৯
আপডেট: ১৫:১৮, ১৬ মে ২০১৯

বড় রান তাড়ায় বাংলাদেশের হেসে খেলে জয়

স্পোর্টস ডেস্ক: আবু জায়েদ চৌধুরী পাঁচ উইকেট নিলেও পল স্টার্লিংয়ের সেঞ্চুরিতে লড়াই করার মতো রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ায় সামনে থেকে পথ দেখাল উদ্বোধনী জুটি। লিটন দাস ও তামিম ইকবাল করলেন ফিফটি। সাকিব আল হাসানও খেললেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। টপ অর্ডারের দৃঢ়তায় অনায়াসেই জিতল বাংলাদেশ।   সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না মোসাদ্দেক ম্যাচ শেষ করে আসার সুযোগ হাতছাড়া করলেন মোসাদ্দেক হোসেন। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বল থার্ড ম্যানে খেলতে চেয়েছিলেন মোসাদ্দেক। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে গ্যারি উইলসনের গ্লাভসে। ১৭ বলে এক চারে ১৪ রান করে ফিরেন মোসাদ্দেক। ৪১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৭৮/৪। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী সাব্বির রহমান। জয়ের জন্য শেষ ৯ ওভারে ১৫ রান চাই তাদের। ফিফটি করে মাঠ ছাড়লেন সাকিব তিন নম্বরে দারুণ মানিয়ে গেছেন সাকিব আল হাসান। তুলে নিয়েছেন ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি। ৫১ বলে ক্যারিয়ারের ৪২তম ফিফটি করার পরপরই সাইড স্ট্রেইনের জন্য মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তার ইনিংস গড়া চারটি চারে। ৩৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৪৭/৩। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেন। জয়ের জন্য শেষ ১৪ ওভারে বাংলাদেশের চাই ৪৬ রান। মুশফিককে ফেরালেন র‍্যানকিন আবার আঘাত হানলেন বয়েড র‍্যানকিন। ফিরিয়ে দিলেন কিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে। লেগ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন মুশফিক। ব্যাটে খেলতে পারেননি, ছুঁয়ে যায় গ্লাভস। ঝাঁপিয়ে ক্যাচ গ্লাভসে নেন গ্যারি উইলসন। ৩৩ বলে পাঁচ চারে ৩৫ রান করে ফিরেন মুশফিক, ভাঙে ৬৪ রানের জুটি। ৩৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২২৫/৩। মোহাম্মদ মিঠুন না থাকায় পাঁচ নম্বরে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ। অন্য প্রান্তে আছেন সাকিব আল হাসান। জয়ের জন্য শেষ ১৭ ওভারে বাংলাদেশের চাই ৬৮ রান। সাকিব-মুশফিক জুটিতে পঞ্চাশ বড় রান তাড়ায় দলকে টানছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুই ব্যাটিং ভরসা গড়েছেন ওয়ানডেতে তাদের সপ্তদশ পঞ্চাশ রানের জুটি। দুই ওপেনার ভালো শুরু এনে দেওয়ার পর সাকিব-মুশফিকের কাজ ছিল ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান দারুণভাবে পালন করছেন দায়িত্ব। ৫০ বলে তুলে নিয়েছেন জুটির পঞ্চাশ। ৩১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২১৩। সাকিব ৩৯ ও মুশফিক ৩০ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ১৯ ওভারে আরও ৮০ রান চাই তাদের। বাংলাদেশের দুইশ ফিফটি করে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস ফিরে গেলেও কমেনি রানের গতি। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে চার হাঁকিয়ে শুরু করা মুশফিক চড়াও হয়েছেন বোলারদের ওপর। দারুণ সঙ্গে দিচ্ছেন সাকিব। দ্রুত জমে উঠেছে তাদের জুটি। ১৫তম ওভারে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিল বাংলাদেশ, দুইশ রান এলো ৩০তম ওভারে। ৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২০৬/২। সাকিব ৩৫ ও মুশফিক ২৮ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ২০ ওভারে আরও ৮৭ রান চাই তাদের। লিটনকে থামালেন ম্যাককার্থি পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন লিটন দাস। দ্রুত তোলার চেষ্টায় থাকা এই ওপেনারকে বোল্ড করে থামালেন ব্যারি ম্যাককার্থি। ফুল লেংথ বল লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন লিটন। স্লোয়ার বলে একটু আগেভাগে শট খেলে ফেলা ডানহাতি ব্যাটসম্যান বলে-ব্যাটে করতে পারেননি। এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্পস। ৬৭ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় ৭৬ রান করে ফিরেন লিটন। ২৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৬৫/২। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে চার হাঁকানো মুশফিকুর রহিম। জয়ের জন্য শেষ ২৭ ওভারে আরও ১২৮ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের। ভালো শুরু দিয়ে ফিরলেন তামিম দলকে ভালো শুরু এনে দিয়ে ফিরে গেলেন তামিম ইকবাল। তাকে বোল্ড করে ১১৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেন বয়েড র‌্যানকিন। টানা দুই ইনিংসে বোল্ড হলেন তামিম। আইরিশ পেসারের বল তার ব্যাটের কানায় লেগে ড্রপ খেয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। ৫৩ বলে ৯ চারে ৫৭ রান করে ফিরেন তামিম। ১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১২২/১। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে লিটনের ফিফটি সবশেষ সিরিজটা ভীষণ বাজে কেটেছিল লিটনের। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচেই ফিরেছিলেন ১ রান করে। সৌম্য সরকারের বিশ্রামে একাদশে ফিরে পেলেন রানের দেখা। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তুলে নিলেন ফিফটি। হুট করে বাজে এক শটে ভালো সুযোগগুলো হাতছাড়া করেন বলে ক্যারিয়ারে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খুব বেশি নেই। ৪৭ বলে ৭ চারে তুলে নিলেন দ্বিতীয় ফিফটি। ওয়ানডেতে তার সেঞ্চুরি আছে একটি। বাজে বলের জন্য অপেক্ষা করেছেন লিটন। মেরেছেন নিশ্চিত হয়ে। শট সিলেকশনে বেশ সতর্ক। তামিম ইকবালের সঙ্গে জমে উঠেছে তার জুটি। ১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১১২/০। তামিম ৫৩ ও লিটন ৫২ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ৩৪ ওভারে আরও ১৮১ রান চাই তাদের। ছন্দে থাকা তামিমের ফিফটি, জুটির শতরান ছন্দে থাকা তামিম ইকবাল আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ৪৬ বলে এসেছে বাঁহাতি এই ওপেনারের ৪৬তম ফিফটি। বড় রান তাড়ায় দলকে সামনে থেকে পথ দেখাচ্ছেন তামিম। খেলছেন খুব একটা ঝুঁকি না নিয়ে। বাউন্ডারির জন্য অপেক্ষা করছেন সঠিক বলের। এর মধ্যেই একটি কঠিন সুযোগ দিয়েছিলেন উইকেটরক্ষককে কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি গ্যারি উইলসন। ১৫তম ওভারে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পথে আটটি বাউন্ডারি হাঁকান তামিম। সাবলীল ছিলেন স্বাগতিকদের সব বোলারের বিপক্ষেই। সেই ওভারের শেষ বলে লিটন দাসের বাউন্ডারিতে তিন অঙ্কে যায় জুটি ও দলের রান। আগের ১০ ইনিংস মিলিয়ে তামিম-লিটন তুলেছিলেন ১৪৩ রান। এক ইনিংসেই সেই রান ছাড়িয়ে যাওয়র আশা জাগিয়েছেন তারা। ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০৩/০। তামিম ৫১ ও লিটন ৪৫ রানে ব্যাট করছেন। তামিম-লিটনের প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি বড় রান তাড়ায় বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ৫২ বলে এসেছে তাদের জুটির পঞ্চাশ। এগারোতম ইনিংসে এসে প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটির দেখা পেলেন তামিম-লিটন। তাদের আগে সেরা জুটি ছিল গত ডিসেম্বরে সিলেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৫। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ তিন ম্যাচে ৫, ৫ ও শূন্য রানে ভেঙেছিল তাদের জুটি। ৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫৩/০। তামিম ৩১ ও লিটন ২০ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ৪১ ওভারে আরও ২৪০ রান চাই তাদের। জীবন পেলেন তামিম একটুর জন্য বেঁচে গেলেন তামিম ইকবাল। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে তার ক্যাচ গ্লাভসে জমাতে পারেননি উইকেটকিপার। নবম ওভারে লেট কাট করে কিপারের পাশ দিয়ে বল পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তামিম। লাফিয়ে নাগাল পেয়ে গিয়েছিলেন গ্যারি উইলসন কিন্তু গ্লাভসে জমাতে পারেননি। বাউন্ডারি পেয়ে যান তামিম। সে সময় ২২ রানে ছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। বাংলাদেশের সাবধানী শুরু বড় রান তাড়ায় শুরুতে সাবধানী বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস শট খেলছেন নিজের জোনে বল পেলে। ৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৪/০। দুটি চারে তামিম ১৮ বলে করেছেন ১২ রান। সৌম্য সরকারের জায়গায় এই ম্যাচে খেলা লিটন ১২ বলে দুই চারে করেছেন ১০ রান। জয়ের জন্য শেষ ৪৫ ওভারে আরও ২৬৯ রান চাই বাংলাদেশের। বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বোলিংয়ে শুরুটা দারুণ ছিল বাংলাদেশের। পঞ্চাশ ছোঁয়ার খানিক পর পল স্টার্লিংকে ফিরিয়ে নিয়ন্ত্রণ আরও দৃঢ় করার সুযোগ ছিল তাদের সামনে। ৫৭ ও ৫৮ রানে দুইবার জীবন পাওয়া ওপেনার টানেন দলকে; তৃতীয় উইকেটে উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের সঙ্গে গড়েন দেড়শ ছাড়ানো জুটি। সাকিব আল হাসান নিজের প্রথম বলে পেতে পারতেন স্টার্লিংয়ের উইকেট। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন সহজ ক্যাচ ছাড়ায় বেঁচে যান আইরিশ ব্যাটসম্যান। পরে তিনিই সাকিবের এক ওভার থেকে তুলে নেন ২৩ রান। ওয়ানডেতে সাকিবের সবচেয়ে খরুচে ওভার। কম রানে যে জুটি ভাঙতে পারতো সেটি যায় ১৭৪ পর্যন্ত। স্টার্লিং করেন ১৩০, নড়বড়ে শুরু করা পোর্টারফিল্ড থামেন ৯৪ রানে। বোলিংয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল আবু জায়েদ চৌধুরী। অভিষেকে কোনো উইকেট না পাওয়া এই পেসার ৫৮ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এই ম্যাচেও প্রথম পাঁচ ওভারে ছিলেন উইকেটশূন্য। চোট কাটিয়ে ফেরা সাইফ ২ উইকেট নিয়েছেন ইনিংসের শেষ ওভারে। দুই স্পেলে ৭ ওভার বোলিং করা রুবেল হোসেন নিয়েছেন এক উইকেট। সংক্ষিপ্ত স্কোর: আয়ারল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৯২/৮ (স্টার্লিং ১৩০, ম্যাককলাম ৫, বালবার্নি ২০, পোর্টারফিল্ড ৯৪, ও’ব্রায়েন ৩, অ্যাডায়ার ১১, উইলসন ১২, ডকরেল ৪, ম্যাককার্থি ১* আবু জায়েদ ৫/৫৮, রুবেল ১/৪১, সাইফ ২/৪৩, মোসাদ্দেক ০/৩২, সাকিব ০/৬৫, মাশরাফি ০/৪৭)
Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়