Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২৮ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ১২ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, আই নিউজ

প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ১০ জুন ২০২৩

খুলনায় মাঝরাতে শেষ হচ্ছে ভোটের প্রচারণা, ঝুঁকিপূর্ণ ১৬১ কেন্দ্র  

খুলনায় বইছি খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের হাওয়া। আর মাত্র একদিন পরেই সোমবার (১২ জুন) কেসিসি নির্বাচন ২০২৩-র ভোটগ্রহণ। তাই আজ শনিবার (১০ জুন) মধ্যরাতেই শেষ হচ্ছে প্রচার, প্রচারণা। ফলে শেষ সময়ের প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। কেননা, মধ্যরাতের পর থেকে আর কোনো প্রার্থীই প্রচারণার কাজ চালাতে পারবেন না। করলে সেটি হবে নির্বাচনী আইন বহির্ভূত কাজ। 

এদিকে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে মধ্যরাত থেকেই যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি মহানগরী এলাকায় বহিরাগত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী আজ মধ্যরাতে প্রচার-প্রচারণা শেষ হবে। প্রচারণা শেষ হওয়ার পর বহিরাগত কেউ নির্বাচনী এলাকায় থাকতে পারবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

খুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ দেড় শতাধিক ভোটকেন্দ্র 
সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে। যার মধ্যে ১৬১টি ভোটকেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। এসব গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে সাধারণ কেন্দ্রের তুলনায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। 

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্য। এছাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা মহানগরীতে বসানো হয়েছে ১৬টি চেকপোস্ট।

খুলনার নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ভোটার সংখ্যা, প্রার্থীর বাড়িসংলগ্ন কেন্দ্র, প্রভাব বিস্তার, যাতায়াতসহ বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে ৭জন পুলিশ ও ১৭জন আনসার সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া সাধারণ কেন্দ্রে থাকবেন ৭ জন পুলিশ ও ১৫ জন করে আনসার সদস্য। তবে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এটি কম-বেশি হতে পারে।

খুলনা সিটি নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটার সংখ্যা 
এদিকে খুলনা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী এবং ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

খুলনা সিটি নির্বাচনের এবারের নির্বাচন হবে ইভিএমে। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯ ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোটকেন্দ্র সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য মোট ২ হাজার ৩১০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ করা হয়েছে।

নগর ভবন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন। 


এবারের নির্বাচনে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।

নির্বাচনকে ঘিরে যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা 
আজ শনিবার (১০ জুন) মধ্য রাতের পর থেকে কেসিসি নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণার কাজ চালাতে পারবেন না। এই সময় থেকে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।

জেলা প্রশাসনের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনের আলোকে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকার ভোটকেন্দ্রের আশেপাশের এলাকায় কতিপয় যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ১১ জুন দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১২ জুন দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মিনি বাস, মাইক্রোবাস, জীপ, পিক আপ, কার ও ইজিবাইক চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।

একই সঙ্গে ভোটগ্রহণের আশপাশের এলাকায় শনিবার (১০ জুন) দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১৩ জুন মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।

রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য। 

তাছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন-অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

এছাড়া মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ