Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২৭ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ১২ ১৪৩২

বিশেষ প্রতিবেদক, ত্রিশাল

প্রকাশিত: ১৬:৫৭, ১৩ জুন ২০২৩
আপডেট: ১৭:২৫, ১৩ জুন ২০২৩

২২০০ কেজি ওজনের গরু কালো মানিক : দাম ৪০ লাখ!

কোরবানির হাঁটে আলোচিত ত্রিশালের কালো মানিক ষাঁড়। ছবি- সংগৃহীত

কোরবানির হাঁটে আলোচিত ত্রিশালের কালো মানিক ষাঁড়। ছবি- সংগৃহীত

দেশ সেরা গরুর তকমা পেয়েছে ত্রিশালের কালো মানিক নামের ২২০০ কেজির একটি ষাঁড় গরু। কালো মানিকের মালিক এর দাম হেঁকেছেন ৪০ লাখ টাকা! গত বছরও কোরবানির হাঁটে ওঠেছিল এই কালো মানিক। তবে অতিরিক্ত দাম হওয়ায় গত বছর অবিক্রিত থাকায় এবছর আবার হাঁটে তোলা হয়েছে ২২০০ কেজি ওজনের কালো মানিককে।

ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধানিখোলা দক্ষিন ভাটিপাড়া গ্রামের কালো মানিকের মালিক দাবী করছেন ২২০০ কেজি ওজনের এ ষাড়টি এবার দেশ সেরা। দাম ৪০ লাখ টাকা চাওয়া হলেও তবে ভাল ক্রেতা পেলে আলোচনা সাপেক্ষে বিক্রির জন্য প্রস্তুতি আছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

গত কোরবানীর ঈদে কালো মানিকের দাম হয়েছিল বিশ লাখ টাকা। গত তিন বছর ধরে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় বিক্রি হয়নি কালো মানিক। তাই কালো মানিকের মালিক জাকির হোসেন সুমন আরো একবছর লালন পালন করে এ কোরবানীর ঈদে ২২০০ কেজি ওজনের কালো মানিকের দাম হাঁকাচ্ছেন ৪০ লাখ টাকা। মালিকের দাবি ময়মনসিংহ অঞ্চলেসহ সারাদেশে সবচেয়ে বড় গরু তার এ কালো মানিক।

জানা যায়, এটি ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় কালো মানিক। গত ছয় বছর ধরে লালন-পালন করে আসছেন উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের খামারি জাকির হোসেন সুমন। এর ওজন ২২০০ কেজি। ষাঁড়টি শান্ত প্রকৃতির ও কালো রঙের হওয়ায় আদর করে এর নাম নাম রাখা হয়েছে কালো মানিক। 

কালো মানিকের নাম আশ পাশের এলাকাসহ সবার মুখে মুখে। বিশাল আকারের কালো মানিককে দেখতে ক্রেতাসহ সাধারন মানুষতো বটেই দুর-দূরান্ত থেকেও নানা বয়সের মানুষ প্রতিদিন জাকিরের বাড়িতে ভিড় জমায়েত হন। দেখতে আসা অনেকেই এটিকে হাতির সাথে তুলনা করছেন।

কালো মানিকের মালিক জাকির হোসেন সুমন জানান, অনেক শখ করে গত ছয় বছর ধরে এই ষাঁড়টিকে আমি দেশীয় খাবার খাইয়ে যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছি। খাবার হিসেবে প্রতিদিন দুই হাজার টাকা খরচ হয়। কৃত্রিম কোনো কিছু খাওয়ানো হয় না। প্রাকৃতিক উপায়ে খৈল, ভুষি, ভুট্টা, কলা, ভাত, খড়-ঘাস খাইয়েছি। শখ করে গরুটিকে পালন করেছি। আমি নিজের চেয়েও বেশি গরুর যত্ন করি। গত কয়েক বছর ধরে ভাল দাম না পওয়ায় কালো মানিককে বিক্রি করতে পারিনাই। তবে এ বছর আশা করছি ভাল দামে গরুটি বিক্রি করতে পারবো।

উপজেলা প্রানী সম্পদ ও ভেটেনারী হাসপাতালের কর্মকর্তা তানজিলা ফেরদৌসি লিমা জানান, এ উপজেলায় কালো মানিক সবচেয়ে বড় ষাঁড়। এটি ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়। গত ছয় বছর ধরে খামারী এটি প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন পালন করছে। কোন কৃত্রিম রাসায়নিক ব্যবহার করে নাই। আমরা আশা করছি ষাঁড়টির মালিক ভাল মূল্য পাবেন।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ