Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ অক্টোবর ২০২৫,   আশ্বিন ১৭ ১৪৩২

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:২৪, ৪ জুলাই ২০২০
আপডেট: ১১:২৫, ৪ জুলাই ২০২০

বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতেকরে আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার তিস্তা চর অঞ্চলগুলোতে। পানি বৃদ্ধির কারণে জেলায় নতুন করে  প্রায় ২৫ হাজার চরবাসী পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তিস্তায় দেখা দিয়ে তীব্র ভাঙ্গন। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২৫ হাজার মানুষ। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। লোকজন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

শনিবার সকাল ৬টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ২২ সেন্টিমিটর  উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তিস্তা ব্যারেজ দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তা পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮২ সেন্টিমিটার। ব্যারাজ রক্ষার্থে ৪৪টি জলকপাট খুলে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি বৃদ্ধিতে চরের কৃষকরা ফসল নিয়ে বিপাকে আছেন। উজানের পানি ও ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তায় দেখা দিয়েছে বন্যা। তিস্তার পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তা অববাহিকায় ৫ দিন পর আবারও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছ বলে সংশ্লিষ্ট ইউপি  চেয়ারম্যানগন জানিয়েছেন।

হাতীবান্ধা উপজেলা  সানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, আমার ইউনিয়নের চরে লোকজন তৃতীয় দফায় পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, পানি নেমে যাওয়া ৫ দিন না পেরোতেই শনিবার সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী অববাহিকার পরিবারগুলো ফের পানিবন্দী হয়ে পড়ছে। নতুন করে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলেও তিনি জানান।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু জাফর জানান, তিস্তাপাড়ে তৃতীয় দফায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে জেলায় নতুন করে  প্রায় ২৫ হাজার চরবাসী পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।

আইনিউজ/টিএ

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়