Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ১১ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২৭ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৪২, ২ ডিসেম্বর ২০২১
আপডেট: ১২:৪৩, ২ ডিসেম্বর ২০২১

সাভারে ৬ ছাত্রকে হত্যামামলায় ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন

নিহত ৬ শিক্ষার্থী। ফাইল ছবি

নিহত ৬ শিক্ষার্থী। ফাইল ছবি

দশ বছর পর সাভারের আমিনবাজারে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১১ সালের শবে বরাতের রাতের ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রায়ে সাজা পেয়েছেন ৩২ জন। তাদের মধ্যে ১৩ জনের ফাঁসি ও ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমত জাহান এই আদেশ দেন।

রায়ের আগে ৪৪ আসামিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এরপর তাদের রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। তাদের উপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আব্দুল মালেক, সাঈদ মেম্বার, আব্দুল রশিদ, ইসমাইল হোসেন রেপু, ইহর জমসের আলী, মির হোসেন, মজিবুর রহমান ওরফে বরিশাল, আনোয়ার হোসেন, রজ্বব আলী, আলম, মোহাম্মদ রানা, আব্দুল হানিফ ও আসলাম মিয়া।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, শহিন আলম, মো. ফরিদ খান, রাজিব, ওয়াসিম, আব্দুস ছাত্তার, নাজিম মিয়া, মনির হোসেন, আলমগীর, খাটা ইসলাম, অখিল খোন্দকার, বশির, রুবেল, নুর ইসলাম, শাহদাত হোসেন ওরফে জুয়েল, টুটুল, মাসুদ, মোখলেস, ততন ও সাইফুল।

মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন ৬০ জন। তাদের মধ্যে তিনজন বিচার চলাকালীন মারা গেছেন। বাকি ৫৭ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত ৩২ জন ছাড়া বাকিরা খালাস পেয়েছেন।

এর আগে গত ২২ নভেম্বর মামলার যুক্তিতর্কের শুনানির পর একই আদালত ২ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন। মামলায় ৯২ সাক্ষীর মধ্যে ৫৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবেবরাতের রাতে আমিনবাজারের বড়দেশি গ্রামের কেবলার চরে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

নিহতরা হলেন- বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যাপললিফের এ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শামীম, মিরপুর বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, একই কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র কামরুজ্জামান কান্ত, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবির মুনিব।

ঘটনার পর নিহতদের বিরুদ্ধেই ডাকাতির অভিযোগ এনে গ্রামবাসীর পক্ষে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন আব্দুল মালেক নামে এক বালু ব্যবসায়ী। অন্যদিকে ছয় কলেজছাত্র হত্যাকাণ্ডে ৬০০ গ্রামবাসীকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন।

২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র‌্যাব সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, নিরীহ ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা মারধর করেন। পরে হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মসজিদের মাইকে সবাইকে ডাকাত আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে তাঁদের হত্যা করা হয়।

ওই বছরের ৮ জুলাই মামলার ৬০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জশিট) গঠন করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলালউদ্দিন।

আইনিউজ/এসডি

দেখুন আইনিউজের বিভিন্ন ভিডিও খবর

লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়া, দেশে চিকিৎসা নেই

শ্রীমঙ্গল পৌরসভায় চতুর্থবার মেয়র হলেন মহসীন মিয়া মধু

মৌলভীবাজারে ১৩৩ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৪০ বেকার তরুণ

পাকিস্তান দলকে সমর্থনকারী বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক উৎসবে মুগ্ধ বিদেশিনী

মৌলভীবাজারের সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ভারত সরকারের পদ্মভূষণ পদকে ভূষিত

এছাড়াও যে কোনও ভিডিও সংবাদের জন্য ভিজিট করুন আইনিউজের ভিডিও আর্কাইভস

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ