Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২২ জুন ২০২৫,   আষাঢ় ৮ ১৪৩২

ডেস্ক নিউজ

প্রকাশিত: ২১:০৯, ৩০ মে ২০২০

নিহত বাংলাদেশিদের দাফন লিবিয়াতেই হবে

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

লিবিয়ায় অপহরণকারীদের গুলিতে নিহত বাংলাদেশিদের মরদেহ মিজদা শহরেই দাফন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা।

শনিবার দূতাবাসের শ্রম বিষয়ক কাউন্সিলর অশরাফুল ইসলাম বিবিসি’কে জানান, নিহতদের পরিবারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মিজদা শহরেই মরদেহগুলো দাফনের প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি বলেন, মিজদা শহরটি খুবই ছোট ও অনুন্নত, সেখানে লাশগুলো সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে লাশগুলোকে সেখানেই দাফন করা ছাড়া কোনো বিকল্প বর্তমানে আমাদের হাতে নেই। কাজেই এটা মেনে নিতেই হবে।

আশরাফুল ইসলাম জানান, লাশগুলো বর্তমানে মিজদার একটি হাসপাতালে রয়েছে।

যুদ্ধকবলিত এলাকা হওয়ায় এবং লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরের এলাকা হওয়ায় রাজধানী ত্রিপোলির সাথে মিজদা শহরের যোগাযোগের ব্যবস্থা বেশ খারাপ। আর করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সব ধরণের আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় লাশগুলো মিজদা শহর থেকে সরিয়ে নেয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, এসব কারণে লাশ হস্তান্তর করার বা লাশ বাংলাদেশে পাঠানোর কোনো সুযোগ আমরা দেখছি না। তাই আমরা লাশগুলো দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং তাদের পরিবারের সাথে কথাবার্তা বলছি।

আশরাফুল ইসলাম আশা প্রকাশ করেন যে আজ থেকেই লাশগুলো দাফনের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।

বৃহস্পতিবার সকালে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের মিজদা অঞ্চলে অপহরণকারীদের গুলিতে ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হন। আহত হন আরো ১১ জন বাংলাদেশি।

তারা সবাই অবৈধভাবে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পারি দিয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

অবৈধভাবে লিবিয়ার বেনগাজি বন্দরে পৌঁছে কয়েকমাস গোপনে ছিলেন এই অভিবাসন প্রত্যাশীরা।

এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে বেনগাজি থেকে উপকূলবর্তী যুওয়ারা অঞ্চলে যাওয়ার পথে অপহরণকারীদের কবলে পড়েন তারা।

এরপর ২৮শে মে সকালে অপহরণকারীদের গুলিতে ২৬ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৩০ জন মারা যায় বলে জানায় লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার।

সূত্র: বিবিসি

আইনিউজ/এসবি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়