Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২২ জুন ২০২৫,   আষাঢ় ৮ ১৪৩২

প্রবাস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১৩, ১৫ জুলাই ২০২০

মালয়েশিয়ায় কর্মহীন মানুষের সংখ্যা ৮ লাখেরও বেশি

করোনাভাইরাসের কারণে অনেক কঠিন সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা। অনেকেই চাকরি হারিয়ে আজ কর্মহীন। করোনার প্রভাব সকল দেশের মতো দেখা দিয়েছে মালয়েশিয়াতেও।

বিগত তিন দশকের মধ্যে মালয়েশিয়ায় রেকর্ড পরিমাণ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে দেশটিতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮ লাখ ২৬ হাজার ১০০। এর মধ্যে দেশটির জনসাধারণের পাশাপাশি বিদেশি অভিবাসীরাও রয়েছেন। সরকারি পরিসংখ্যান বিভাগ (ডিওএসএম) থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠার জন্য দেশটির সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে। দেশটিতে কর্মক্ষম জনশক্তি ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের মাঝে জরিপ চালিয়ে এই তথ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি মাস পর্যন্ত শতকরা হিসাবে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের সংখ্যা ৫.৩ এ পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) মালয়েশিয়ার সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মার্চ থেকে দেশটিতে শুরু হয় লকডাউন। তখন মালয়েশিয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ১০ হাজার ৫০০ জন। লকডাউনের শুরুতেই তা এক লাফে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৮০০ তে পৌঁছায়। এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বেকারের সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে ৮ লাখ ২৬ হাজার ১০০ জনে পূর্ণ হয়েছে। ২০১৯ সালের মে মাসে দেশটিতে ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮০০ জন কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষ ছিলেন।

এদিকে, মালয়েশিয়ার শ্রমশক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। এপ্রিলে এ সংখ্যা ছিল ১৪.৯৩ মিলিয়ন (এক কোটি ৪০ লাখের বেশি)। মে মাসে সেটি সামান্য কমেছে ১৪.৮৯ মিলিয়ন হয়েছে। লকডাউনের প্রভাবে এমনটা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বেসরকারি হিসাবে বেকারের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। প্রথম দফা লকডাউনে সব ধরনের অবকাঠামো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও পরে ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করার পর অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে এবং চলমান রিকভারি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডারেও (আরএমসিও) কিছু নিয়ন্ত্রণ আদেশ বহাল রয়েছে। কিছুদিন আগেও দেশটির সরকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন সেক্টরে প্রায় ৩৫ বিলিয়নের আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করে।

মালয়েশিয়ায় ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়স পর্যন্ত নারী পুরুষ নিয়মিত কাজ করেন। তারা ভারী কোনো কাজ করেন না বিধায় বিদেশি শ্রমিকের প্রয়োজন হয়।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়