Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ২১ জুন ২০২৫,   আষাঢ় ৭ ১৪৩২

প্রবাস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:২৭, ৩০ আগস্ট ২০২০

জার্মানিতে চিকিৎসাখাতে এগিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশিরা

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মধ্য ইউরোপের দেশ জার্মানি। সেখানে পড়াশোনা ও গবেষণার মান বিশ্ব মানের। জার্মানিতে ডাক্তারি পড়ার পাশাপাশি চিকিৎসাখাতের গবেষণাতেও খুব ভালো করছেন বাংলাদেশিরা। এতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নাম করার সুযোগ রয়েছে।

হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কুলার বায়োলজি অ্যান্ড টিউমার এনজিওজেনেসিস বিভাগে পিএইচডি শুরু করেন উৎস আলী হায়দার। গবেষণার এ পর্যায়ে ইংরেজি ভাষা চলে বলেই ভাষা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়নি তার।

তিনি বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিক্যুলার বায়োলজি থেকে পাশ করে জার্মানিতে সেল বায়োলজি ও ফিজিওলজির ওপরে মাস্টার্স করি। এরপর এখানে ডায়বেটিস নিয়ে গবেষণার জন্য পিএইচডি পজিশনটি দেখে আগ্রহী হই এবং আবেদন করি।

তবে উৎস তার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে বলেন, পড়াশোনার জন্য না লাগলেও প্রাত্যহিক জীবনে জার্মান ভাষাটা লাগে৷ তাই আমি সেটা শিখেছি৷ তবে বাংলাদেশে যেটা আমরা খুব বেশি শিখি না, যেমন নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নেয়া বা সময়ানুবর্তিতা, সেটি জার্মান শিক্ষার্থীরা খুব ছোটবেলা থেকে শেখেন৷। আমি তাদের কাছ থেকে সেটা শেখার চেষ্টা করেছি।

অন্যদিকে এইচএসসি পাশ করে ডাক্তারি পড়ার উদ্দেশ্যে একাই জার্মানিতে চলে এসেছেন উর্মি রহমান। তিনি বলেন, আমি এখানে এসে প্রথমে ভাষা শিখি। তারপর স্টুডিয়েনকলেগ (ব্যাচেলর পড়ার প্রস্তুতি কোর্স) করি। তারপর হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফ্যাকাল্টিতে ডাক্তারি পড়া শুরু করি। আর তিন বছর লাগবে ডাক্তারি পাশ করতে। কাজটা কঠিন ছিল ঊর্মির কাছে। কিন্তু সেই কঠিন কাজটিই করেছেন ধৈর্য্যের সঙ্গে।

বাংলাদেশ থেকে যারা ডাক্তারি পড়তে এখানে আসেন, তাদের একটি লাইসেন্স টেস্ট দিতে হয় বলে জানান ঊর্মি। সেই পরীক্ষাটি জার্মান ভাষায় হয়। তাই ডাক্তারি পড়তে হলে জার্মান ভাষা জানতেই হয়।

এই দুই শিক্ষার্থী জানান, জার্মানিতে পড়াশোনার খরচ (টিউশন ফি) কোনো কোনো রাজ্যে একেবারে শূন্য। তবে যেখানে হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত সেই বাডেম ভ্যুটেমব্যর্গ রাজ্যে এখন সেটি সেমিস্টার প্রতি দেড় হাজার ইউরো। তারা বলেন, জার্মানিতে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি পাওয়া কঠিন নয়। তবে এর পাশাপাশি ডাক্তারি বা চিকিৎসা খাতে গবেষণা করার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপের সাপোর্ট থাকা ভালো।

এ বিষয়ে উর্মি বলেন, যেহেতু ডাক্তারিতে পড়াশোনা বেশি, তাই একটার বেশি জব করা সম্ভব নয়। সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন কাজ করা যায়৷ তাতে বাড়ি থেকে কিছুটা সাপোর্ট থাকলে সুবিধা।

আর উৎস বলেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিছুটা সাপোর্ট পাচ্ছি এবং একটি জব করছি, তাতে আমার বেশ ভালোই চলে যাচ্ছে।

শুধু ঊর্মি ও উৎসই নন, জার্মানিতে অনেক বাংলাদেশিই ডাক্তারি পড়তে আসছেন এবং তারা ভালো করছেন। অনেকে এখান থেকে গবেষণা করে দেশে ফেরত যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন দেশের গবেষকদের সঙ্গে মিলে নতুন নতুন গবেষণাও করছেন।

সূত্র-ডয়চে ভেল

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়