Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ২১ ১৪৩২

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

প্রকাশিত: ২৩:৫৯, ৩ অক্টোবর ২০২০

মেসভাড়া মওকুফের দাবি শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

করোনা পরিস্থিতিতে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা সিলেট ছাড়তে বাধ্য হয়। কিন্তু মেসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মেসভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে নিয়মিতভাবে । ফলে, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনেকে ভাড়া পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে।

এমতাবস্থায় মেস ভাড়া মওকুফের দাবি তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গণমাধ্যমে প্রেরিত স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান ৩০৪ জন শিক্ষার্থী।

বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে পর্যাপ্ত সিট না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী ভাড়া মেসে থাকেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী টিউশন করিয়ে মেসের ভাড়া পরিশোধ করে থাকেন। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের যেমন টিউশন বন্ধ হয়েছে, তেমনি স্থবির কিংবা ব্যাহত হয়েছে পরিবারের অর্থনীতির চাকা। ফলে অর্থনৈতিকভাবে বিধ্বস্ত অবস্থায় আছে প্রতিটা শিক্ষার্থী ও তার পরিবার। এ অবস্থায় মেস ভাড়া দিতে হিমশিম খাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

তারা আরো বলেন, ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী চরমভাবে মেস-মালিকদের হয়রানির শিকার হচ্ছে। যেমন- মেস থেকে বের করে দেওয়া; মেসে পরিকল্পিত চুরির ঘটনা ঘটানো সহ নানাবিধ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মেস ভাড়া মওকুফের বিষয়ে শাবিপ্রবি প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেসভাড়া সমস্যার ব্যাপারে সন্তোষজনক সমাধান হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে। কিন্তু আমরা এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিহিত করলেও এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর পদক্ষেপ কিংবা সমাধান কোনোটিই হয়নি! এমনকি উপাচার্য স্যার, সাংবাদিকদের সাক্ষাতকারে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও কোন সুরাহা হয়নি।

ভাড়া মওকুফের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন 'ছাত্রী হোস্টেল'র ছাত্রীদের গত ছয়মাসের ভাড়ার অন্তত ৬০% মওকুফ করে বাকি ৪০% ভাড়া কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ দিতে হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের মেসগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সবমিলিয়ে আমাদের এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে খুব শ্রীঘ্রই একটা কার্যকর সমাধান অতীব জরুরী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চয়ই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে একটা প্রত্যাশিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে বলে আমরা আশা রাখি। এবং তা অবশ্যই দ্রুততর সময়ের মধ্যে।

 

জিএম ইমরান হোসেন/ শাবিপ্রবি প্রতিনিধি/ আইনিউজ

Green Tea
সর্বশেষ