Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ২১ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:১২, ৯ অক্টোবর ২০২০

শেকৃবিতে ফসলের জাত ‘সাউ কিনোয়া-১’ উদ্ভাবন

‘সাউ কিনোয়া-১’

‘সাউ কিনোয়া-১’

‘সাউ কিনোয়া-১’ নামের নতুন জাতের সুপারফুড উদ্ভাবন করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক পরিমল কান্তি বিশ্বাস। শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর এই সুপারফুডটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী বলে জানিয়েছেন এই গবেষক। কিনোয়া দানা পুষ্টি সমৃদ্ধতার কারণে ইতোমধ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা স্বীকৃতি দিয়েছে। 

জাতীয় বীজ বোর্ড (এনএসবি) ইতোমধ্যে অনিয়ন্ত্রিত ফসলের জাত নিবন্ধনের আওতায় উদ্ভাবিত এ জাতটি নিবন্ধন দিয়েছে। সাউ কিনোয়া-১ (SAU-Quinoa-1) নামে নতুন এ জাতটি নিবন্ধিত হয়। জাতটির নিবন্ধন নম্বর ০৫(৪৬)-০১/২০২০। 

গবেষক পরিমল কান্তি বিশ্বাস জানান, সাউ কিনোয়া-১ প্রজাতিটি তিনিই প্রথম বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন করেছেন। দেখতে অনেকটা বথুয়া শাকের মতো হলেও সাউ কিনোয়া-১ Amaranthaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি দানাশস্য। দানা মূলত খাবারের অংশ হলেও এর পাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায়। মানবদেহের জন্য অত্যাবশকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিডের সবগুলো উপাদান এই দানাশস্যে রয়েছে বলে তিনি জানান। এছাড়া এতে ১৪-১৮ শতাংশ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, কপার, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং ম্যাঙানিজ রয়েছে।

অধ্যাপক পরিমল কান্তি বিশ্বাস

পরিমল কান্তি বিশ্বাস জানান, প্রান্তিক পর্যায়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের জন্য এখনো বীজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। কিছুটা সময় লাগবে। উপকূলীয় এলাকার লবণাক্ত ও খরা অঞ্চলসহ সারাদেশে রবি মৌসুমে এ ফসলটি চাষ করা সম্ভব বলেও তিনি জানান। 

উল্লেখ্য, ফসলটির পুষ্টি সমৃদ্ধতার কারণে খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ বছর আগে থেকেই ল্যাটিন আমেরিকাভুক্ত দেশে দানা, ফ্লেক্স, পাস্তা, রুটি, বিস্কুট, বেভারেজ হিসেবে কিনোয়া ব্যবহার করে আসছে। বর্তমানে উত্তর আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, ভারতসহ ৯৫ টিরও বেশি দেশে কিনোয়া চাষাবাদ হচ্ছে।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সর্বশেষ