নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ১৩:৩৪, ২৯ অক্টোবর ২০২০
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত

ফাইল ছবি
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি আরও এক দফা বাড়ল। এবার বাড়িয়ে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ সময়ের মধ্যে কিন্ডারগার্টেন স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়-সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
এ সময় তিনি আরও জানান, করোনার সংক্রমণ এড়াতে নতুন বছরের শুরুতে স্কুলগুলোতে বই উৎসব হবে না। তবে যথা সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুকসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আগামী দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। এ সময়ে আমাদের মনিটরিং কাজ চলবে। দুই সপ্তাহ পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কি-না, তা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির জন্য গত মার্চ মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। এ ছুটি নতুন করে আরও ১৪ দিন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এরপরে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায় কি-না তা খতিয়ে দেখা হবে। আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায় কি-না, তা ভেবে দেখা হচ্ছে।’
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কেউ চাইলে ভর্তি পরীক্ষা সশরীরে নিতে পারেন। তবে একটি স্বার্থের কথা চিন্তা না করে শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে আগে দেখতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘সকলে যদি সশরীরে পরীক্ষা নেয়া শুরু করেন, তবে কী ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হবে তা ভেবে দেখা হবে। তবে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হলে শিক্ষার্থীদের কষ্ট কমবে ও সময় ব্যয় কম হবে।’
‘সীমিত আকারে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ খুলে দেয়া যায় কি-না, তা ভেবে দেখা হচ্ছে। যেহেতু এ স্তরের শিক্ষার্থীরা ছোট নয়, তাই কীভাবে এগুলো খুলে দেয়া যায় সেসব বিষয় নিয়ে ভাবা হচ্ছে। প্রয়োজনে বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনের শিক্ষার্থীদের ভাগ ভাগ করে বসিয়ে যদি ক্লাস নেয়া যায়-এমন নানা ধরনের ভাবনা আমাদের রয়েছে। সময় অনুযায়ী সকল সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে’ যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বাতিল করা হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। নেয়া হবে না বার্ষিক পরীক্ষাও।
আইনিউজ/এসডিপি
- শাবির ৭২ টি সিসি ক্যামেরার মধ্যে ৫৩ টিই বিকল
- মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল ২০২৫
- এসএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ এর রেজাল্ট ২০২৩
- শাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন, চলছে ভোটগ্রহণ
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ | এসএসসি ফলাফল
- অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষা রুটিন ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ কবে হবে
- চবি ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৫
- রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ ভর্তি যোগ্যতা ২০২৩
- ‘বাঁচতে চাইলে পরীক্ষায় এ্যাটেন্ড কর’, ছাত্রীকে শাবি শিক্ষক