Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ২০ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ২৯ অক্টোবর ২০২০
আপডেট: ১৩:৫৬, ২৯ অক্টোবর ২০২০

বছরের শুরুতে হচ্ছে না বই উৎসব

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের কারণে নতুন বছরের বই উৎসব নিয়ে আগে থেকেই শঙ্কা ছিল। বৃহস্পতিবার এলো চূড়ান্ত ঘোষণা।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনার সংক্রমণ এড়াতে নতুন বছরের শুরুতে স্কুলগুলোতে বই উৎসব হবে না। তবে যথা সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি। ব্রিফিংয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও উপস্থিত ছিলেন।

সেখানে আরও জানানো হয়, ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ছে।

২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর সরকার ১ জানুয়ারি জাঁকজমকের সঙ্গে উদ্‌যাপন করে আসছে বই উৎসব।

কিন্তু এ বছর কার্যাদেশ না দিতে পারায় সময়মতো বই ছাপার কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় আগেই। পাশাপাশি করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের জড়ো করে অন্যান্যবারের মতো বই বিতরণের আয়োজনটি নিয়েও ছিল শঙ্কা।

কয়েক দিন আগে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার উৎসব বাতিল করা হতে পারে অথবা সীমিত পরিসরে আয়োজন করা হতে পারে। তবে অন্যবারের মতো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকার আশঙ্কাই বেশি।

এনসিটিবি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণের জন্য প্রায় ৩৫ কোটি বই ছাপা হচ্ছে। এর মধ্যে ১০ কোটি ২৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৫টি প্রাথমিক স্তরের। আর মাধ্যমিক, দাখিল ও ইবতেদায়ি স্তরের ২৪ কোটি ৪১ লাখ। ৫ থেকে ৮ অক্টোবরের মধ্যে প্রাথমিকের বই ছাপার কার্যাদেশ পেয়েছে মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। মাধ্যমিকের বই ছাপার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে অক্টোবরের মাঝামাঝিতে।

প্রতি বছর অক্টোবরের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের অন্তত ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে যায়। কিন্তু ২৩ অক্টোবরের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, তখন পর্যন্ত উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিকের বই পাঠানো হয়েছে মাত্র ১৫-২০ শতাংশ। এদিকে মাধ্যমিকের বই ছাপার কাজ গেল কয়েক দিন হলো শুরু করেছে মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। হাতে খুবই অল্প সময় থাকলেও মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নানা ধরনের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে বলছে, এতে তাদের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় ডিসেম্বরের মধ্যে বইয়ের কাজ শেষ করা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সর্বশেষ