আইনিউজ ডেস্ক
আপডেট: ২১:৪৩, ৪ আগস্ট ২০২২
কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কাজে ফিরলেন ওসমানীর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ধর্মঘট স্থগিত করে কাজে ফিরেছেন আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মতিউর রহমান বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বেলা পৌনে ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুর থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও তাদের আন্দোলন স্থগিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠকটি ওসমানী মেডিকেল কলেজের হল রুমে আয়োজিত হয়। এতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ওসমানীর ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. আব্দুল মোন্তাকিম চৌধুরী বলেন, “মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার বাড়াতে প্রশাসন দ্রুততম সময়ে কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। এই আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছি। তবে সাত দিনের মধ্যে সব আসামি গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে আবার আন্দোলনে নামবো।”
এর আগে, বুধবার মধ্যরাতে শাহপরান এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি দিব্য সরকারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ মামলার আরও দুই আসামি সাঈদ হাসান রাব্বি ও এহসান আহমদকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে বুধবার দুপুরে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।
এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে বহির্বিভাগসহ ওসমানী হাসপাতালের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ারও ঘোষণা দেন তারা। বুধবার বিকেলে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার শেষে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে দুপুরের দিকে ওসমানী হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা মেডিকেল সড়ক অবরোধ করেন। পরে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও হাসপাতালের এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদ এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ১ আগস্ট সোমবার রাত থেকে আন্দোলন শুরু হয়।
শিক্ষার্থীরা মেডিকেল কলেজে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মেডিকেল প্রশাসনের মামলা করাসহ ৫ দাবি জানান।
তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে রাত ৩টার দিকে ধর্মঘট ও অবরোধ স্থগিত করেন আন্দোলনরতরা। তবে এসময় তারা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে মঙ্গলবার বেলা ২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় আন্দোলনরতদের সঙ্গে কলেজ, হাসপাতাল, পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ফের বৈঠকে বসেন। বৈঠকে ইন্টার্ন চিকিৎসকের দাবিগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেয়া হয়। তবে হামলাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় বৈঠক শেষে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। পরে বিকালে তারা কলেজ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তবে শুধু ইমার্জেন্সি ও হৃদরোগ বিভাগে সেবা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
অপরদিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্ছিতের অভিযোগে ৮ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার দুপুরে কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ওসমানী হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ হানিফ এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিএ-টু প্রিন্সিপাল ও সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহমুদুল রশিদ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
দুই মামলার আসামিরা হলেন- দিব্য, আব্দুল্লাহ, এহসান, মামুন, সাজন, সুজন, সামি ও সাঈদ হাসান রাব্বি।
আইনিউজ/এসডি
- ‘বাঁচতে চাইলে পরীক্ষায় এ্যাটেন্ড কর’, ছাত্রীকে শাবি শিক্ষক
- মধ্যরাতে শাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
- শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরামর্শের ভিত্তিতে শাবিপ্রবিতে পরীক্ষা
- শাবিতে নতুন প্রক্টর
- প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শাবি
- এবার শাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ
- অভিযুক্ত শাবি শিক্ষার্থী সুবিরকে সাময়িক বহিষ্কার
- ২৮ এপ্রিল থেকে শাবিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু
- ২২১৬ জনকে ১৫ জিবি ডাটা দিল শাবি প্রশাসন
- ‘আমি সত্যি এ দুনিয়ার যোগ্য না’ লিখে খুবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা