বিনোদন ডেস্ক
আপডেট: ১৪:২১, ২১ আগস্ট ২০২০
নায়করাজ চলে যাওয়ার তিন বছর

দেখতে দেখতে কেটে গেল তিন বছর। ২০১৭ সালের ২১ শে আগস্ট মহাপ্রয়াণ ঘটেছিল বাংলা চলচ্চিত্রের নায়করাজ রাজ্জাকের। এ দিনে তাকে আলাদাভাবে স্মরণ করছে পরিবার, ভক্ত ও স্বজনেরা।
উত্তরায় রাজ্জাকের বাণিজ্যিক ভবন রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্স আশপাশের গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে পরিবারের পক্ষ থেকে। মার্কেটের মসজিদে থাকছে দোয়ার আয়োজন। পাশাপাশি বাড়িতে মিলাদ ও দোয়া পড়া হবে। এ তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানান অভিনেতার ছেলে সম্রাট।
এ ছাড়া চলচ্চিত্রের একাধিক সংগঠন বনানী কবরস্থানে ফুল দিয়ে রাজ্জাকের প্রতি সম্মান জানিয়েছে। শনিবার শিল্পী সমিতি এফডিসিতে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন রেখেছে। কয়েক দিন পর দোয়ার আয়োজন করবে প্রযোজক সমিতি।
নায়করাজ নামে সুপরিচিত হলেও তার আসল নাম আব্দুর রাজ্জাক। রাজ্জাক ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। সিনেমার নায়ক হওয়ার স্বপ্ন ছিল শুরু থেকে। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন। সেই নাটকের জন্য তার গেম-টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা ‘বিদ্রোহী’ নামের ওই নাটকে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়করাজের অভিনয়ে সম্পৃক্ততা।
তৎকালীন প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকায় এসেও রাজ্জাক চলচ্চিত্রের নায়ক হওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। প্রথমে ‘উজালা’ সিনেমাতে পরিচালক কামাল আহমেদের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে এ নির্মাতার অনেক স্মরণীয় সিনেমার নায়ক হন তিনি।তৎকালীন প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকায় এসেও রাজ্জাক চলচ্চিত্রের নায়ক হওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। প্রথমে ‘উজালা’ সিনেমাতে পরিচালক কামাল আহমেদের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে এ নির্মাতার অনেক স্মরণীয় সিনেমার নায়ক হন তিনি।
নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে নায়করাজের যাত্রা জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ ছবি দিয়ে। এতে তার বিপরীতে ছিলেন কোহিনূর আক্তার সুচন্দা। প্রযোজক হিসেবে নায়করাজের যাত্রা হয় ‘রংবাজ’ ছবিটির মাধ্যমে। এটি পরিচালনা করেছিলেন জহিরুল হক। রাজ্জাকের বিপরীতে ছিলেন কবরী। ববিতার সঙ্গে জুটিবেঁধে নায়করাজ প্রথম নির্দেশনায় আসেন ‘অনন্ত প্রেম’ চলচ্চিত্র দিয়ে। এই ছবিটি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে আছে। নায়ক হিসেবে এ অভিনেতার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল শফিকুর রহমান পরিচালিত ‘মালামতি’। এতে তার বিপরীতে ছিলেন নূতন।
এক জীবনে তিনি প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সঙ্গেই ঢালিউডে সেরা নায়ক হয়ে অভিনয় করেন রাজ্জাক। এর মধ্য দিয়েই তিনি অর্জন করেন নায়করাজ রাজ্জাক খেতাব। অর্জন করেন একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা। এছাড়াও, রাজ্জাক জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করেছেন।
তার প্রযোজনা সংস্থা রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশন থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু ছবি নির্মাণ করেছিলেন। এরমধ্যে রয়েছে, ‘আকাঙ্ক্ষা’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘পাগলা রাজা’, ‘বেঈমান’, ‘আপনজন’, ‘মৌচোর’, ‘বদনাম’, ‘সৎ ভাই’, ‘চাঁপা ডাঙ্গার বৌ’, ‘জীনের বাদশা’, ‘ঢাকা-৮৬’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘মরণ নিয়ে খেলা’, ‘সন্তান যখন শত্রু’, ‘আমি বাঁচতে চাই’, ‘কোটি টাকার ফকির’ প্রভৃতি।
১৯৭২ থেকে ৮৯ সাল পর্যন্ত রাজ্জাক অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে—‘স্লোগান’, ‘আমার জন্মভূমি’, ‘অতিথি’, ‘কে তুমি’, ‘স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা’, ‘প্রিয়তমা’, ‘পলাতক’, ‘ঝড়ের পাখি’, ‘খেলাঘর’, ‘চোখের জলে’, ‘আলোর মিছিল’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘ভাইবোন’, ‘বাঁদী থেকে বেগম’, ‘সাধু শয়তান’, ‘অনেক প্রেম অনেক জ্বালা’, ‘মায়ার বাঁধন’, ‘গুণ্ডা’, ‘আগুন’, ‘মতিমহল’, ‘অমর প্রেম’, ‘যাদুর বাঁশী’, ‘অগ্নিশিখা’, ‘বন্ধু’, ‘কাপুরুষ’, ‘অশিক্ষিত’, ‘সখি তুমি কার’, ‘নাগিন’, ‘আনারকলি’, ‘লাইলী মজনু’, ‘লালু ভুলু’, ‘স্বাক্ষর’, ‘দেবর ভাবী’, ‘রাম রহিম জন’, ‘আদরের বোন’, ‘দরবার’, ‘সতীনের সংসার’ প্রভৃতি।
অন্যদিকে নায়করাজ সর্বশেষ ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ‘আয়না কাহিনী’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছিলেন। এই চলচ্চিত্রে জুটি হিসেবে অভিনয় করেছিলেন তারই ছোট ছেলে সম্রাট ও কেয়া।
আইনিউজ/এসডিপি
- নিউ জার্সির চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রীমঙ্গলের ২ নির্মাতার ৬টি চলচ্চিত্র
- ‘হাওয়া’ দেখতে দর্শকদের ভিড়, খোদ নায়িকা সিঁড়িতে বসে দেখলেন সিনেমা
- লুঙ্গি পরায় দেওয়া হয়নি সিনেপ্লেক্সের টিকেট, সেই বৃদ্ধকে খুঁজছেন নায়ক-নায়িকা
- সেরা পাঁচ হরর মুভি
- বিয়ে করেছেন মারজুক রাসেল!
- শোকের মাসে শ্রীমঙ্গলের স্কুলগুলোতে প্রদর্শিত হলো ‘মুজিব আমার পিতা’
- শাকিবের সঙ্গে বিয়ে-বাচ্চা তাড়াতাড়ি না হলেই ভাল হত: অপু বিশ্বাস
- গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
- নারী বিদ্বেষীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন যাত্রা শুরু : জয়া আহসান
- প্রিন্স মামুন এবং লায়লার বিচ্ছেদ