বিনোদন ডেস্ক
কণ্ঠশিল্পী আকবরের শারিরীক অবস্থার অবনতি

ফাইল ছবি
সপ্তাহখানেক ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কণ্ঠশিল্পী আকবর। ২৩ আগস্ট, রোববার সকাল থেকে তার অবস্থার অবনতি হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
আকবরের মেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, ‘আমার আব্বুর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। ডাক্তার বলেছে যেকোনো সময় যা কিছু হয়ে যেতে পারে। সবাই আব্বুর জন্য দোয়া করবেন। আমরা যেন আব্বুকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারি। আব্বু খুব কষ্ট পাচ্ছে। আল্লাহ তুমি আমার আব্বুর কষ্ট একটু কমিয়ে দাও। আব্বুকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দাও। আমিন।’
গণমাধ্যমকে আকবরের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা জানিয়েছেন রোববার সন্ধ্যায় বলেন, ‘আকবরের শরীরে লবণের পরিমাণ অনেক বেড়ে গিয়েছে। হার্ট ঠিকমতো কাজ করছে। তবে কিডনি ও ইউরিন ইনফেকশন মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। শরীরে কোনো চিকিৎসায় ঠিকমত কাজ করছে না। তাই তারা বলেছেন যে কোনো মুহূর্তে কিছু একটা ঘটে যেতে পারে।’
দীর্ঘদিন ধরে আকবর অসুস্থ। ঈদুল আজহার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। কোমর থেকে শরীরের নিচ পর্যন্ত অবশ হয়ে আছে। গত ৩১ জুলাই থেকে বিছানাতে শুয়ে দিন কাটাতে হচ্ছিল তাকে। ঠিকমতো কথাও বলতে পারছিলেন না। কোনোকিছু খেতেও পারছিলেন না। জনপ্রিয় উপস্থাপক হানিফ সংকেতের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত বছর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আকবরকে চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ টাকা (সঞ্চয়ী পত্র) অনুদান দেন। আপাতত সেই অনুদানের টাকায় স্বামীর চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন কানিজ ফাতেমা।
কয়েক দিন আগে তিনি বলেন, “এর আগে একবার লোনের টাকা নিয়ে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। আবার ভারতে নিয়ে যেতে চাই। সঞ্চয়পত্রের টাকা ভাঙানো যাচ্ছে না। তিন মাস পর পর যে টাকা আসে, সেটা দিয়ে চিকিৎসার খরচ মেটানো যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর অফিসে যোগাযোগ করে চেষ্টা করছি সঞ্চয়পত্রটা ভাঙানো যায় কিনা। এই টাকাটা তুলতে পারলে ভারতে নিয়ে যাব।”
কিশোর কুমারের ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে’ নতুন করে গেয়েছিলেন আকবর আলী গাজী। সবার কাছে তিনি আকবর নামে পরিচিত।
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে প্রচারিত এই গান তাকে আলোচনায় নিয়ে আসে। এরপর ‘তোমার হাত পাখার বাতাসে’ গানটি দেশে ও দেশের বাইরের দর্শক-শ্রোতাদের কাছে তাকে পরিচিত করে তোলে।
যশোর শহরে রিকশা চালাতেন আকবর। খুলনার পাইকগাছায় জন্ম হলেও আকবরের বেড়ে ওঠা যশোরে। সেখানে টুকটাক গান করতেন। তবে গান নিয়ে ছোটবেলা থেকে হাতেখড়ি ছিল না। আকবরের ভরাট কণ্ঠের গানের কদর ছিল যশোর শহরে। সে কারণে স্টেজ শো হলে ডাক পেতেন। ২০০৩ সালে যশোর এম এম কলেজের একটি অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন আকবর।
বাগেরহাটের একজন আকবরের গান শুনে মুগ্ধ হন। তিনি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে চিঠি লেখেন আকবরকে নিয়ে। ওই বছর ‘ইত্যাদিতে ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’-কিশোর কুমারের এই গানটি গেয়ে রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে যান আকবর।
সাত বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন আকবর। দুই বছর ধরে শরীরে বাসা বেঁধেছে জন্ডিস, রক্তের প্রদাহসহ নানা রোগ। তাই আগের মতো এখন আর স্টেজ শো করতে পারেন না। সর্বশেষ গান গেয়েছেন ১১ জানুয়ারি, সাভারে। এরপর থেকে বিছানায়।
আইনিউজ/এসডিপি
- নিউ জার্সির চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রীমঙ্গলের ২ নির্মাতার ৬টি চলচ্চিত্র
- ‘হাওয়া’ দেখতে দর্শকদের ভিড়, খোদ নায়িকা সিঁড়িতে বসে দেখলেন সিনেমা
- লুঙ্গি পরায় দেওয়া হয়নি সিনেপ্লেক্সের টিকেট, সেই বৃদ্ধকে খুঁজছেন নায়ক-নায়িকা
- সেরা পাঁচ হরর মুভি
- বিয়ে করেছেন মারজুক রাসেল!
- শোকের মাসে শ্রীমঙ্গলের স্কুলগুলোতে প্রদর্শিত হলো ‘মুজিব আমার পিতা’
- শাকিবের সঙ্গে বিয়ে-বাচ্চা তাড়াতাড়ি না হলেই ভাল হত: অপু বিশ্বাস
- গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
- নারী বিদ্বেষীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন যাত্রা শুরু : জয়া আহসান
- প্রিন্স মামুন এবং লায়লার বিচ্ছেদ