বিনোদন ডেস্ক
আপডেট: ১৩:৪৯, ৩০ আগস্ট ২০২০
আব্দুল জব্বার চলে যাওয়ার তিন বছর

আজ রোববার শিল্পী আব্দুল জব্বারের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট সকালে গানের এ পৃথিবী ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান এই গুণী শিল্পী।
দেখতে দেখতে তিন বছর হয়ে গেল এই কিংবদন্তিকে হারিয়ে ফেলার। চোখের দেখায় তিনি নেই। কিন্তু ভরাট কণ্ঠে তার গান রয়ে গেছে আজও বাংলার ঘরে।
কিংবদন্তি এই শিল্পী স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত 'সালাম সালাম হাজার সালাম', 'জয় বাংলা বাংলার জয়'সহ অনেক গান গেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা জুগিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি প্রখ্যাত ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে মুম্বাইয়ের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে কাজ করেন।
আব্দুল জব্বার ১৯৩৮ সালের ৭ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি মেট্রিক পাশ করেন। ১৯৫৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান বেতারে গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার সংগীত জীবনের রাজকীয় যাত্রা। ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি বিটিভিতে শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
তার আগেই ১৯৬২ সালে তিনি চলচ্চিত্রে প্রথম প্লেব্যাক করেন। তবে ১৯৬৮ সালে ‘এতটুকু আশা’ ছবিতে সত্য সাহার সুরে তার গাওয়া ‘তুমি কি দেখেছ কভু’ গানটি দিয়ে রাতারাতি পরিচিতি লাভ করেন। একই বছর ‘পিচ ঢালা পথ’ ছবিতে রবিন ঘোষের সুরে ‘পিচ ঢালা এই পথটারে ভালবেসেছি’ ও ‘ঢেউয়ের পর ঢেউ’ ছবিতে রাজা হোসেন খানের সুরে ‘সুচরিতা যেওনাকো, আর কিছুক্ষণ থাকো’- এ দুটি গান তাকে এনে দেয় আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা।
আব্দুল জব্বারের ক্যারিয়ারে মাইলফলক একটি গান ‘ওরে নীল দরিয়া’। এটি তিনি ১৯৭৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সারেং বৌ’ ছবিতে আলম খানের সুরে গেয়েছিলেন। এ গানের প্রতি বিশেষভাবে দুর্বল ছিলেন শিল্পী নিজেও। যে বছর মারা যান সেই ২০১৭ সালে এ গানের সিক্যুয়েল হিসেবে ‘কোথায় আমার নীল দরিয়া’ শিরোনামে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এটিই তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের একমাত্র মৌলিক গানের অ্যালবাম।
এ বরেণ্য শিল্পীর গাওয়া ‘তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়’, ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ এবং ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ - এই তিনটি গান ২০০৬ সালের মার্চ মাস জুড়ে বিবিসি বাংলার আয়োজনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাংলা ২০ গানের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ আব্দুল জব্বার পেয়েছেন কোটি মানুষের ভালোবাসা। পেয়েছেন অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা। এরমধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক (১৯৭৩), একুশে পদক (১৯৮০), স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯৬), বাচসাস পুরস্কার (২০০৩) ও জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কার।
আইনিউজ/এসডিপি
- নিউ জার্সির চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রীমঙ্গলের ২ নির্মাতার ৬টি চলচ্চিত্র
- ‘হাওয়া’ দেখতে দর্শকদের ভিড়, খোদ নায়িকা সিঁড়িতে বসে দেখলেন সিনেমা
- লুঙ্গি পরায় দেওয়া হয়নি সিনেপ্লেক্সের টিকেট, সেই বৃদ্ধকে খুঁজছেন নায়ক-নায়িকা
- সেরা পাঁচ হরর মুভি
- বিয়ে করেছেন মারজুক রাসেল!
- শোকের মাসে শ্রীমঙ্গলের স্কুলগুলোতে প্রদর্শিত হলো ‘মুজিব আমার পিতা’
- শাকিবের সঙ্গে বিয়ে-বাচ্চা তাড়াতাড়ি না হলেই ভাল হত: অপু বিশ্বাস
- গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
- নারী বিদ্বেষীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন যাত্রা শুরু : জয়া আহসান
- প্রিন্স মামুন এবং লায়লার বিচ্ছেদ