Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ০৪ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ২০ ১৪৩২

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ২৩ অক্টোবর ২০২০

‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গান নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন চঞ্চল চৌধুরী

চঞ্চল চৌধুরী

চঞ্চল চৌধুরী

ইউটিউব কিংবা ফেসবুক দুটি প্ল্যাটফর্মেই শ্রোতাদের মন জয় করেছে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও অভিনেত্রী শাওনের কণ্ঠে গাওয়া ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ শিরোনামের গান। আচমকা গানটি কপিরাইট ইস্যুতে বিতর্কের মুখে পড়ায় ইউটিউব থেকে সরিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন ‘আয়নাবাজি’ খ্যাত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।

ব্যান্ডদল সরলপুর গানটি তাদের একটি আনরিলিজ ট্র্যাক বলে দাবির ফলেই বিতর্ক জন্মে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে দেয়া বক্তব্যে চঞ্চল চৌধুরী সরলপুর ব্যান্ডদলের কাছে জানতে চেয়েছেন, কপিরাইট আইনের ব্যাখ্যা কী?

তিনি বলেন, গানটি সরলপুর ব্যান্ডের মৌলিক সৃষ্টি নয়। সরলপুরের গানটির বেশিরভাগই লাইন মধ্যযুগের কবি দ্বিজ কানাইয়ের লেখা মৈমনসিংহ গীতিকার মহুয়া গানের পদের মতো। এটি বহু বছর আগের প্রচলিত একটি গান। যে আইনে তাদের দোষ দেয়া হচ্ছে ওই একই আইনে সরলপুর ব্যান্ডদলও দোষী।

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, পুরো ঘটনাটিতে আমি খুব অবাক হয়েছি। ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গানটিকে আমরা সবাই প্রচলিত গান বলেই জানি। তিনি আরো বলেন, বহু বছর আগে সাধকেরা রাধা-কৃষ্ণের প্রেম নিয়ে পালা-পুঁথি লিখতেন। নানা পদ রচনা করতেন। এ গান সেখান থেকেই সৃষ্ট। আর এমন প্রচলিত গানের জন্য অনুমতির বিষয়টি কেউ ভাবেনি। এ গান আমরাতো প্রথমে গাইনি। এটির অনেক ভার্সন ইউটিউবে দেখাও যাচ্ছে। কিন্তু কেউ তো কোনো ব্যান্ডের নাম ক্রেডিট দেয়নি। গানটির মালিক সরলপুর ব্যান্ড হলে অবশ্যই আইপিডিসি বা পার্থ বড়ুয়া তাদের কাছ থেকে অনুমতি নিতেন। 

প্রচলিত ফোক গান নতুন করে রেকর্ড করলেই নিজের হয়ে যায় না উল্লেখ করে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, আমিও বেশ কিছু গান রয়েছে যা প্রচলিত ফোক গান। যেমন ‘বকুল ফুল বকুল ফুল’ গানটি সর্বপ্রথম আমার কণ্ঠেই রেকর্ড হয়েছে। এরপর গানটির জনপ্রিয়তা দেখে জলের গান গেয়েছে, দিনাত জাহান মুন্নী গেয়েছেন। এখন আমি কি বলব- যে এ গান তারা আমার অনুমতি ছাড়া কেন গাইল? আমি এ গানের মালিক? বা আমি এ গানের কপিরাইট আমার নামে করে নেব? 

একইভাবে ‘ফুল গাছটি লাগাইছিলাম ধুলা মাটি দিয়া রে’ ও ‘মনপুরা’ ছবিতে ব্যবহৃত ‘নিথুয়া পাথারে’ গানটির কথা জানিয়ে চঞ্চল বলেন, প্রথমটি পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুরা অঞ্চলের গান। আমি গাওয়ার পর যা খুব জনপ্রিয়তা পায়। অনেকেই মনে করেন, এটা আমার গান। তাই বলে এটা তো আমার হয়ে গেল না। এর পদ রচনাকারী আমি নই। ‘নিথুয়া পাথারে’ গানটিও নিজের বলে দাবি করেননি গিয়াসউদ্দিন সেলিম ভাই। এটাও সংগৃহিত গান হিসেবে পরিচিত।

এরপর চঞ্চল প্রশ্ন করেন, সরলপুর ব্যান্ড কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গানের ৩০ ভাগ তারা সংগ্রহ করেছেন আর ৭০ ভাগ তাদের লেখা। আমি জানতেই চাই যে, ৩০ ভাগের বেলায় কপিরাইট আইন কি বলে? আর বাকি ৭০ ভাগ তারা লিখেছেন বলে যে দাবি করছেন সেখানে কোন কোন লাইনগুলো তাদের লেখা? কারণ বেশিরভাগই লাইন মধ্যযুগের কবি দ্বিজ কানাইয়ের লেখা মৈমনসিংহ গীতিকার মহুয়া গানের পদের মতো। প্রায় হুবহু। সব মিলিয়ে জানতে চাই কীভাবে গানটি তাদের মালিকানায় এলো?

আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের উদ্যোগে ‘আমাদের গান’ শিরোনামে লোকজ সংগীত অনুষ্ঠানের তৃতীয় পরিবেশনা হিসেবে মঙ্গলবার ইউটিউব ও ফেসবুকে মুক্তি পায় চঞ্চল- শাওনের কণ্ঠে ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ শিরোনামের গান। গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলেই জন্ম হয় কপিরাইট ইস্যুর বিতর্ক। গানটি সংগৃহীত লেখার জন্য কপিরাইট দাবি করে সরলপুর ব্র্যান্ড। এতে ইউটিউব থেকে গানটি সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ