Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ০৪ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ২০ ১৪৩২

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ৩১ অক্টোবর ২০২০

শুভ জন্মদিন বাকের ভাই

আসাদুজ্জামান নূর

আসাদুজ্জামান নূর

আজ শনিবার অভিনেতা, নির্দেশক ও রাজনীতিবিদ আসাদুজ্জামান নূরের জন্মদিন। ১৯৪৬ সালে ৩১ অক্টোবর নীলফামারী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আজ ৭৫ বছরে পা রাখলেন এ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।

নূরের বাবার নাম আবু নাজেম মোহাম্মদ আলী ও মা আমিনা বেগম। তিনি পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

১৯৭২ সালে সাপ্তাহিক চিত্রালীর মাধ্যমে আসাদুজ্জামান নূরের কর্মজীবন শুরু। ১৯৭৩ সালে একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার অধীনে একটি ছাপাখানায় ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪ সালে সোভিয়েত দূতাবাসের (বর্তমানে রাশিয়া) প্রেস রিলেশন অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮০ সালে ইস্ট এশিয়াটিক অ্যাডভারটাইজিং লিমিটেডে (বর্তমানে এশিয়াটিক থ্রি সিক্সটি) সাধারণ ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পান।

১৯৭২ সালে তিনি নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে জড়িত হন। এই নাট্যদলের ১৫টি নাটকে ছয় শতাধিকবার অভিনয় করেছেন। দুটি নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন, যার মধ্যে ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ তিন শতাধিকবার মঞ্চায়িত হয়। মঞ্চের জন্য ব্রেখটের নাটকের বাংলা অনুবাদ, রবীন্দ্রনাথের তিনটি উপন্যাসের টিভি নাট্যরূপ এবং টিভির জন্য একটি মৌলিক নাটক রচনা করেন। ৫০টিরও বেশি বিজ্ঞাপনচিত্র ও ভিডিও ছবি নির্মাণ করেছেন তিনি।

নূর টেলিভিশনের জন্য শতাধিক খণ্ড ও ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন। টেলিভিশনে তাকে কিংবদন্তির মর্যাদা দেয় হুমায়ূন আহমেদ রচিত ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিকের বাকের ভাই চরিত্রটি। অন্য নাটকের মধ্যে আছে এইসব দিনরাত্রি, অয়োময়, কোথাও কেউ নেই, আজ রবিবার ও সমুদ্র বিলাস প্রাইভেট লিমিটেড। উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো শঙ্খনীল কারাগার, দহন, চন্দ্রকথা ও আগুনের পরশমণি। সামনে দেখা যাবে শিকলবাহা ও গাঙচিল চলচ্চিত্রে।

আসাদুজ্জামান নূর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সদস্য, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য ও বাংলাদেশ রাশিয়া মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

১৯৬৩ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে পা রাখেন আসাদুজ্জামান নূর। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। নীলফামারী-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।

সংস্কৃতিতে অবদান রাখার জন্য ২০১৮ সালে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়া পেয়েছেন শহীদ মুনির চৌধুরী পুরস্কার, নরেন বিশ্বাস পদক, শহীদ বদরউদ্দিন হোসেন স্মৃতি পুরস্কার ও বিশ্ব মঞ্চ দিবস পুরস্কার।

আসাদুজ্জামান নূরের স্ত্রী ডা. শাহীন আখতার। এই দম্পতির দুই সন্তান ছেলে সুদীপ্ত ও মেয়ে সুপ্রভা।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ