Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ০৪ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ১৯ ১৪৩২

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ১৯ নভেম্বর ২০২০

সঞ্জীব চৌধুরী চলে যাওয়ার ১৩ বছর

সঞ্জীব চৌধুরী

সঞ্জীব চৌধুরী

গীতিকবি-সুরকার-শিল্পী-সাংবাদিক সঞ্জীব চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা যান এই গুণী শিল্পী। আজ তার চলে যাওয়ার ১৩ বছর পূর্ণ হলো।  

তার সৃষ্ট অজস্র গান এখনও নবীনদের অনুপ্রেরণা হয়ে আছে। সঞ্জীবের গাওয়া ‘বায়োস্কোপের নেশায় আমায় ছাড়ে না’, ‘ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও’, ‘আমি তোমাকেই বলে দেবো’, ‘হৃদয়ের দাবি’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিলো চাঁদ’, ‘রিকশা’ ইত্যাদি সব শিরোনামের গানগুলো আজও নতুন প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে।

গানের মানুষ হিসেবেই সমাদৃত হলেও দারুণ মেধাবী সঞ্জীব চৌধুরী পেশায় ছিলেন সাংবাদিক। হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তবে তার পৈতৃক নিবাস বিশ্বনাথ উপজেলার দাশঘর গ্রামে। সেখানকার স্থানীয় শরৎ রায় চৌধুরী ছিলেন সঞ্জীব চৌধুরীর দাদা। তিনি ছিলেন গোপাল চৌধুরী ও প্রবাসিনী চৌধুরী দম্পতির সপ্তম সন্তান।

শিক্ষার পর্ব শেষ করেই দৈনিক উত্তরণ পত্রিকায় যোগ দিয়ে সাংবাদিক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক ভোরের কাগজ ও যায়যায়দিনসহ বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেছেন।

‘শঙ্খচিল’ নামের দলে সংগীতচর্চা শুরু হয় তার। তিনি পিংক লয়েড, বব ডিলানের গানে প্রভাবিত। তার গানেও এদের ছায়া পড়েছে। বিশেষ করে ফোক গানের প্রতি ছিলো তার ব্যাপক ভালো লাগা।

১৯৯৬ সালে সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘দলছুট’ গঠন করেন। পরবর্তীতে সঞ্জীব চৌধুরীর কথা ও বাপ্পার সংগীতায়োজন দলটিকে ভিন্ন মাত্রা দেয়। তিনি গিটারসহ আরো নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্রে পারদর্শী ছিলেন।

গানের পাশাপাশি কবিতাও লিখতেন সঞ্জীব চৌধুরী। দেশের প্রায় সব পত্রিকায়ই তার কবিতা ছাপা হতো। তার একমাত্র কাব্যগ্রন্থের নাম রাশপ্রিন্ট। শুধু কবিতা নয়, সঞ্জীব চৌধুরী বেশ কিছু ছোট গল্প ও নাটকের স্ক্রিপ্ট লিখেছেন। সঞ্জীব চৌধুরী অভিনীত একমাত্র নাটক ‘সুখের লাগিয়া’।

তার সুর ও গাওয়া জনপ্রিয় আরো অসংখ্য গান রয়েছে। যার মধ্যে ‘সাদা ময়লা রঙ্গিলা পালে আউলা বাতাস’, ‘চোখ’, ‘তখন ছিল ভীষণ অন্ধকার’, ‘আহ ইয়াসমিন’, ‘রিকশা’, ‘কথা বলব না’, ‘কালা পাখি’, ‘কোথাও বাশিঁ’, ‘দিন সারা দিন’, ‘সমুদ্র সন্তান’, ‘সানগ্লাস’ অন্যতম। এছাড়াও তিনি ‘কোন মেস্তরি নাও বানাইছে’ ও ‘গাড়ি চলে না’ গান গেয়ে মরমী বাউল সাধক শাহ আব্দলু করিমকে সারা দেশের শ্রোতাদের নতুন জনপ্রিয়তায় তুলে ধরেন। 

সঞ্জীব চৌধুরী ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন খন্দকার আলিমা নাসরিন শিল্পীকে। সেই সংসারে কিংবদন্তি নামে এক কন্যা রয়েছে তার।

সঞ্জীব চৌধুরীর প্রয়াণ দিবসে তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে তার প্রিয় মানুষ ও ভক্তরা। ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্ত-অনুরাগীরা প্রয়াণ দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলী জানাতে স্মরণ করছেন তাদের প্রিয় সঞ্জীব চৌধুরীকে। কেউ কেউ লিখছেন সঞ্জীব চৌধুরীকে নিয়ে স্মৃতিকথা।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ