স্বাস্থ্য ডেস্ক
আপডেট: ২৩:০৩, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
বেশি টমেটো খেয়ে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছেন না তো!

ফাইল ছবি
টমেটো একটি খুব পরিচিত সবজি। খাবারে স্বাদ আনতে অনেকেই টমেটো ব্যবহার করে। তবে রান্নার পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও ব্যবহার হয় টমেটো। ধারণা করা হয় সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে টমেটো মানুষকে রক্ষা করে।
তবে অতিরিক্ত টমেটো খেলে দেখা দিতে পারে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। টমেটোতে থাকা বিভিন্ন উপাদানের জন্য হজমের সমস্যা থেকে শুরু করে কিডনির রোগ পর্যন্ত হতে পারে।
বেশি টমেটো খাওয়ার ফলে কি কি হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
►টমেটোতে হিস্টামিন নামের এক ধরনের উপাদান আছে। যা থেকে ত্বকে অ্যালার্জির সৃষ্টি করে। টমেটো অতিরিক্ত খেলে মুখ, জিহ্বা ও মুখের ফোলাভাব, হাঁচি, গলার জ্বালা ইত্যাদি মারাত্মক লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
►টমেটোতে রয়েছে ম্যালিক ও সাইট্রিক অ্যাসিড আছে। যা পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড বা অম্লের প্রবাহ সৃষ্টি করে। এ কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়।
►যারা পেটের পীড়ায় ভোগেন, তাদের অতিরিক্ত টমেটো খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত।
►বেশি মাত্রায় টমেটো খেলে গেঁটে বাত দেখা দিতে পারে। কারণ এতে সোলানিন নামক বিশেষ অ্যালকালয়েড থাকে। এ যৌগ কোষে ক্যালসিয়াম তৈরির জন্য দায়ী। এ যৌগের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা প্রদাহ তৈরি শুরু করে।
►অতিরিক্ত টমেটো খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। কারণ টমেটোতে আছে ক্যালসিয়াম ও অক্সালেট। যা সহজেই শরীর থেকে বের হয় না। এগুলো শরীরে জমা হতে শুরু করলেই কিডনিতে পাথর জমে।
►টমেটোতে সালমোনেলা নামের একধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এটি ডায়রিয়ার জন্য দায়ী।
►টমেটোতে থাকা লাইকোপেন অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে জমা হলে লাইকোপিনোডার্মিয়া নামের একধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্তে লাইকোপেন বেড়ে গেলে ত্বকের রং বদলাতে শুরু করে। প্রতিদিন ৭৫ মিলিগ্রামের বেশি লাইকোপেন গ্রহণ করা উচিত নয়।
আইনিউজ/এসডিপি
- কানের ভেতর হঠাৎ পোকা বা কিছু ঢুকে গেলে
- বডিবিল্ডিং: সাপ্লিমেন্টের গুরুত্ব এবং যেভাবে শুরু করবেন
- তিনটি ছোট পরীক্ষায় কিডনির রোগ নির্ণয়
- বিশ্ব এলার্জি সপ্তাহ : নাকের এলার্জি
- চিনির কারণে প্রতিবছর সাড়ে তিন কোটি মানুষের মৃত্যু ঘটে
- চুল পড়া রোধে করণীয়
- করোনা প্রতিরোধে লবণ-গরম পানি কতটুকু কার্যকর?
- করোনায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি নিয়ে আজ লাইভ আলোচনা
- নাকের ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়ার কারণ এবং করোনার সাথে সম্পর্ক
- কবে শিখবো হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার?