Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ১৮ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ৩ ১৪৩২

সাইফুল ইসলাম সুমন, জুড়ী

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ৬ এপ্রিল ২০২৩
আপডেট: ১১:০৫, ৬ এপ্রিল ২০২৩

জুড়ীতে ধর্ষণ মামলায় ফের কারাগারে ধর্ষক কাশেম

ধর্ষণ মামলার আসামী কাশেম মিয়া।

ধর্ষণ মামলার আসামী কাশেম মিয়া।

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় ধর্ষণের অভিযোগ প্রমান পাওয়ায় কাশেম মিয়া (৩২) নামে একজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করে জুড়ী থানা পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শেষে ডাক্তারি রিপোর্ট ও ডিএনএ টেস্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়ায় অভিযুক্ত কাশেমের বিরুদ্ধে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরহাদ আহমদ। 

এদিকে চার্জশিট প্রদানের পর মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ধর্ষণ মামলায় হাজিরা দিতে গেলে মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন বাতিল করে ফের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে মৌলভীবাজার কারাগারে পাঠায় কোর্ট পুলিশ।

কাশেম মিয়া উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের পশ্চিম ভবানীপুর গ্রামের শামসু মিয়ার ছেলে। ২০২২ সালের ২১ আগস্ট ভোরে ধর্ষক কাশেম মিয়াকে তার  বসতবাড়ী থেকে গ্রেফতার করে জুড়ী থানা পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা মেয়েটি অভিযুক্ত কাশেম মিয়ার স্ত্রীর আপন বোনের মেয়ে। সেই হিসেবে মেয়েটি তার ভাগ্নি হয়। আত্মীয়তার সূত্রে সে প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো। আসা-যাওয়ার একপর্যায়ে মেয়েটির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে কাশেম। ২০২২ সালের ১৯ আগস্ট কৌশলে কাশেম মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে পাশ্ববর্তী উপজেলা কুলাউড়ায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি জায়গায় রেখে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে দুই দিন ধরে ধর্ষণ করে। 

এ ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ ধর্ষক কাশেমকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে এবং ভিকটিম কে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আসেন। পরে মেয়েটির মা থানায় বাদী হয়ে অভিযুক্ত কাশেমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন (যার মামলা নং ০৭, তারিখ ২১/০৮/২০২২)।

এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরহাদ আহমদ বলেন, এ ঘটনার তদন্ত শেষে ডাক্তারি রিপোর্ট ও ডিএনএ টেস্ট রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত কাশেম মিয়ার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে আলাপকালে মৌলভীবাজার জজ কোর্টের বিজ্ঞ এডভোকেট শওকতুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যদি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারা প্রমাণিত হয় তাহলে আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অন্যূন ১৪ বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড হইবে। 

অন্যদিকে একই আইনের ৯(১) ধারা প্রমাণিত হলে আসামির অনধিক ১০ বৎসর কিন্তু অন্যূন ৫ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

আই নিউজ/এইচএ 


আই নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও দেখুন

জলময়ূর পাখির সাথে একদিনের দারুণ গল্প | A story with Water Peacock

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ