হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট: ০৯:৩৩, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
হাওরে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নববধূ
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার টিক্কাপুর হাওরে বেড়াতে গিয়ে এক নববধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এসময় ধর্ষণকারীদের হামলায় নববধূর স্বামী ও তার এক বন্ধু গুরুতর আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ধারণও করে রেখেছেন ধর্ষণকারীরা। বিষয়টি কাউকে জানালে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাখাই থানার ওসি মো. সাইদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে র্যাব দুইজনকে এবং পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে। অভিযান এখনও চলমান রয়েছে। অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না।
র্যাবের সিনিয়র এএসপি কামরুজ্জামনা জানিয়েছেন, ধর্ষণ মামলার আসামি ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া ও ইকবাল হোসেনের ছেলে সোলায়মান রনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে র্যাব অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেন নির্যাতিত স্বামী।
মামলার আসামিরা হলেন মোড়াকড়ি গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া, ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া, পাতা মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া, বকুল মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া, মিজান মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া, ইকবাল হোসেনর ছেলে সোলায়মান রনি, ওয়াহাব আলীর ছেলে মুছা মিয়া, রুকু মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া।
আসামি মিঠু মিয়া ও সোলায়মান রনি গ্রেফতার
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুল ইসলাম জানান, বিচারক জিয়াউদ্দিন মাহমুদ তা আমলে নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর করতে লাখাই থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এক মাস আগে বিয়ে হয় মামলার বাদীর। স্ত্রীকে নিয়ে গত ২৫ আগস্ট দুপুরে বাড়ির পাশের হাওরে নৌকাভ্রমণে যান তিনি। নৌকায় নবদম্পতি, তাদের এক বন্ধু ও মাঝি ছিলেন।
বাদীর অভিযোগ, সে সময় আরেকটি নৌকায় করে গ্রামের কয়েকজন যুবক তাদের নৌকার গতি রোধ করেন। তাদের নৌকায় উঠে ওই যুবকরা তাকে ও তার বন্ধুকে মারধর করে আটকে রাখেন। তার স্ত্রীকে ওই নৌকায় তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়।
ওই নারীর স্বামী জানান, ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন যুবকরা। এ কারণে বিষয়টি এত দিন গোপন করে রেখেছিলেন তিনি। তবে ঘটনার চার দিন পর ওই যুবকরা ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ৯ লাখ টাকা দাবি করেন বলে জানান নববধূর স্বামী।
তিনি বলেন, টাকা না দেয়ায় এলাকার কয়েকজনের কাছে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয় ওই যুবকরা। এর মধ্যে তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থাও খারাপ হতে থাকে। এরপর তিনি স্ত্রীকে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নাদিরা বেগম বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে এক নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে বোঝা যাবে না।’
আইনিউজ/এসডিপি
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
- করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক