হেলাল আহমেদ
আপডেট: ১৪:৪৮, ২ ডিসেম্বর ২০২০
‘না দেখিলে রাস, মিটবে না মনের আশ’ (ছবিঘর)
বাঁশি হাতে কলি যুগের কৃষ্ণ ছবি: রণজিৎ জনি
সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজারে নানা ক্ষুদ্র নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর বসবাস। এর মধ্যে সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যে অন্যতম মনিপুরি সম্প্রদায়। আজ দুপুরে রাখাল নৃত্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মনিপুরী সম্প্রদায়ের সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব মহারাস লীলা। কমলগঞ্জের আদমপুর এবং মাধপুরের মণ্ডপ ঘুরে ছবি তোলেছেন আইনিউজের ফটো সাংবাদিক রণজিৎ জনি।
বাংলাদেশে যে কয়েকটি জায়গায় রাস উৎসব পালিত হয়, তাঁর মধ্যে আকর্ষণীয় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের রাসলীলা। প্রতিবছর দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ এই দিনে এখানে এসে জড়ো হন একটি অন্যরকম সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মুগ্ধ হতে। আর এসব মানুষকে আনন্দ দিতে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও মনিপুরিদের মণ্ডপে মণ্ডপে লেগেছে রঙের ছোঁয়া। ছবি: রণজিৎ জনি
১৭৬৯ সালে মনিপুরের মহারাজা ভাগ্যচন্দ্র স্বপ্নাদেশে রাসলীলার এই নৃত্য-গীতের প্রর্বতন করেছিলেন। মহারাজ ভাগ্যচন্দ্র বৈষ্ণব ধর্মের আচরণীয় শ্রীমদ্ভাগবতের রাস পঞ্চধ্যায় পঠন সেবায় ব্রতী হন বটে কিন্তু ভগবৎকৃত রাসলীলা, গোপী, সখী ও মঞ্জুরীসহ বিরাজমান দৃশ্য চাক্ষুষ দর্শনে অপারগ হয়ে নিজে শ্রীগোবিন্দ জিউর চরণে প্রাণপাত শয়নে গেলেন। কমলগঞ্জের মাধবপুরে রাসলীলা প্রথম শুরু হয় ১৮৪২ সালে। ছবি: রণজিৎ জনি
এ বছর হয়েছে রাসের ১৭৮ তম আয়োজন। রঙে, ছন্দে, গানে আর গোপিনীদের নৃত্যের মধ্য দিয়ে রাস হয়ে ওঠেছে এই অঞ্চলের ঐতিহ্যের অংশ। ‘রাস’ শব্দটা আসলে এসেছে শ্রীকৃষ্ণের ১২ ধরনের রস থেকে। তবে ১২টি রসের মধ্যে রাসলীলায় সখ্য, বাৎসল্য ও মধুর এই তিনটি রসের উপস্থাপনই হয়ে থাকে। ছবি: রণজিৎ জনি
হেমন্তের রাতে দ্বিপ্রহরের চাঁদ। কার্তিকের পূর্ণিমা তিথি। ধবল জ্যোৎস্নায় মন্ডপগুলো পুরোটাই উদ্ভাসিত। অপরূপ সাজে মণিপুরী তরুণীদের আবেগী ঢঙে অবস্থান। শুরু হয় রাসনৃত্য। তুলে ধরা হয় রাধা-কৃষ্ণের প্রেম কাহিনী। আয়োজকরা জানান অসাম্প্রদায়িকতার মেলবন্ধনের প্রতীক হয়ে ওঠেছে মনিপুরী সম্প্রদায়ের এই মহারাসলীলা উৎসব। ছবি: রণজিৎ জনি
মণিপুরী তরুণীরা প্রদীপ প্রজ্বলিত হাতে কৃষ্ণের রাধিকারূপে অবস্থান করেন। মন্ডপজুড়ে তখন যুবতীরা উলুধ্বনিতে মুখরিত অভ্যর্থনা জানায়। রাধিকা এক সময় ম ত্যাগ করেন। তারপরই কৃষ্ণরূপে বাঁশি হাতে উপস্থিত হন এক কিশোর। তার বাঁশির সুর উপস্থিত সকলকে মোহাচ্ছন্ন করে ফেলে। ছবি: রণজিৎ জনি
১৭৮তম রাস উৎসবে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মাধবপুর জোড়া মন্ডপ ও আদমপুরে জাত-ধর্ম নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। মহারাসলীলা সেবা সংঘ রাস উৎসবের ব্যাপক আয়োজন করে। ছবি: রণজিৎ জনি
প্রচলিত প্রবাদ আছে, ‘ না দেখিলে রাস, মিটবে না মনের আশ (আশা)। রাসে আনন্দ আছে। আনন্দে রস আছে। কিন্তু এ রস দৃশ্যমান নয়। কেউ কেউ এ রস আস্বাদন করে থাকেন হৃদয় দিয়ে। এই হৃদয়ও অদৃশ্য। ... অদৃশ্য রসের দৃশ্যমান প্রকাশই হলো রাস।’ ছবি: রণজিৎ জনি
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
- করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক