‘ভোটের পরেও যে আমাদের খবর নিবে, সেই মানুষকে নির্বাচিত করতে চাই’

৭২ বছর বয়সী করম আলী মনে করেন, যাকে আমরা ভাল করে চিনি,জানি। যে মানুষটাকে আমরা সত্যি সত্যিই আমাদের বিপদে আপদে পাশে পাবো আমার মতে সেরকম একটা মানুষকেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করা উচিত।'

৬৪ বয়সী সামজান বেগমের মতে,'যে মানুষটির বাড়িতে বার বার ধরনা দিয়েও তার থেকে কোন সহযোগিতা পাওয়া যায় না। কোন সমস্যায় পড়লে যার কাছে গিয়ে কোন সমাধান হয়না সেরকম মানুষকে নির্বাচিত করতে চাই না। এমন মানুষকে নির্বাচিত করতে চাই যেকিনা বিজয়ী হওয়ার পরেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলের ভালমন্দ জিজ্ঞেস করবে। সকলের সমস্যার খোঁজখবর নিবে। এবং নিজে থেকেই সেসব সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করবে।'

নিজের মতামত বলতে গিয়ে ৫৫ বছর বয়সী জাহারা বেগম বলেন, 'আমরা আসলে গরীব মানুষ। কারো কাছে আমাদের খুব বেশি কিছু চাওয়ার নেই। যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি যেন আমাদের মত গরীব, অসহায় মানুষের দিকে খেয়াল রাখেন। কখনও অবহেলা না করেন। সেটাই আমার চাওয়া।

তাছাড়া, আমরা গরীব হয়েও যেহেতু আমাদের সন্তানদের পড়াশোনা করিয়ে যাচ্ছি সেহেতু গরীব,অসহায় শিক্ষার্থীদের যেন বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হয়। যিনি নির্বাচিত হবেন সেসব জনপ্রতিনিধিদের কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে এটাই। '

যোগ্য প্রার্থী প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ৫৩ বছর বয়সী ভানু বেগম বলেন, 'যে মানুষটি নির্বাচিত না হয়েও মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করে। মানুষের বিপদে আপদে পাশে থাকে। যে কোন সমস্যায় পড়লে যার কাছে গেলে সহযোগিতা পাওয়া যাবে। সেরকম প্রার্থীকেই আমি যোগ্য বলে মনে করি। আর সেরকম প্রার্থীকেই নিজের মূল্যবান ভোটটা দিয়ে নির্বাচিত করতে চাই।'

আরও পড়ুন- ২০২১ সালে পতন হয়েছে যেসব তারার

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কেমন প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে চান? কোন দিক বিবেচনা করে প্রার্থীকে যোগ্য মনে করছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে উপরের মন্তব্যগুলো করেছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৬ নং আশিদ্রোন ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের কয়েকজন বয়স্ক ভোটার। যাদের প্রায় সকলের মন্তব্যে এটাই উঠে এসেছে যে, তারা এমন প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে চান যাকে নির্বাচিত করার পর পরে যেন হারিকেন দিয়ে খুঁজেও না পাওয়ার মত অবস্থা না হয়।