Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ১২ মে ২০২৫,   বৈশাখ ২৯ ১৪৩২

আই নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ২০ মার্চ ২০২৩

কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাতে চা বাগানে আনন্দের বন্যা 

গত দুইদিন ধরে শ্রীমঙ্গলসহ সিলেট বিভাগের প্রতিটি জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিশেষ করে চলতি মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত চায়ের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে চা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের অভিমত। পুনিং (আগা ছাঁটাই) করা চা গাছে দ্রুত গজাতে শুরু করবে কুঁড়ি। এই বৃষ্টিপাতের কারণে চা সংশ্লিষ্টরা মহাখুশি। চা শিল্পাঞ্চলে বইছে আনন্দের বন্যা। 

২০২৩ সালে চা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ১০২ মিলিয়ন কেজির বেশি ধরা হয়েছে। ২০২২ সালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০০ মিলিয়ন কেজি। শ্রমিক কর্মবিরতির কারণে সেখান থেকে একটু কম হয়েছে। তিন-চার সপ্তাহ চা শ্রমিকরা কাজ না করায় চা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় এর প্রভাব পড়েছে।

শ্রীমঙ্গলসহ চা শিল্পাঞ্চলে রোববার সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত তিন দফায় ১৯.৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সোমবার (২০ মার্চ) সকাল ৩টা পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৪ মিলিমিটার। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে কাংখিত বৃষ্টিপাত চায়ের জন্য সুফল বয়ে আনবে। ২০২৩ সালের এই মওসুমে চা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ১০২ মিলিয়ন কেজির বেশি ধরা হয়েছে। মার্চের এই বৃষ্টিপাত আমাদের চা সংশ্লিষ্টদের কাছে আশির্বাদ সরূপ। টিপিং এর কাজটি হবে যথাযথ। ফলে চায়ের গুণগত মানও অক্ষুন্ন থাকবে। কাংখিত ধারায় বৃষ্টিপাত হলে চা উৎপাদনে এবার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে আমি আশাবাদী। 

চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিপাত হওয়াতে চা শিল্পের জন্য সুফল বয়ে এনেছে। বৃষ্টি হওয়ায় এখন চা গাছে দ্রুত নতুন কুঁড়ি চলে আসবে। টিপিং দ্রুত হবে। এরপর প্লাকিংও শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে লক্ষ্যে মাত্রার ওপরে চা উৎপাদন হবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরো বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে সরকার। এর মধ্যে ১৩০ মিলিয়ন কেজি চা দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ করা হবে এবং বাকি ১০ মিলিয়ন কেজি চা বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়