Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ০৪ মে ২০২৫,   বৈশাখ ২১ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:০০, ৩ মে ২০২৫

পর্যটকে মুখর শ্রীমঙ্গল: তিনদিনের ছুটিতে ফাঁকা নেই হোটেল-রিসোর্ট

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মুল ফটক। ছবি: আই নিউজ

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মুল ফটক। ছবি: আই নিউজ

টানা তিনদিনের ছুটিতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পর্যটকের ঢল নেমেছে। ইট পাথরের শহর ছেড়ে একটু স্বস্তি পেতে পর্যটকেরা ছুটে আসেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ এই লীলাভূমিতে।পর্যটকদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। হোটেল-রিসোর্ট মালিকেরা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ হোটেল রিসোর্ট-কটেজ পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে আছে। ফাঁকা নেই একটি রুমও। এছাড়া চা বাগানসহ শহরের বিভিন্ন বিনোদন স্পটগুলোতে পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো।

সরেজমিনে দেখা যায়—বিভিন্ন বয়সের লোকজন পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পর্যটন এলাকার চায়ের দোকান, রেস্তোরাঁয় ভিড় দেখা গেছে। শ্রীমঙ্গলের বধ্যভূমি ৭১, বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্র, রাবার বাগান, বিটিআরআই চা বাগান, চা কন্যার ভাস্কর্য, নীলকণ্ঠ সাত রঙের চা কেবিন, বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনসহ শ্রীমঙ্গলের অসংখ্য পর্যটন স্পটে প্রচুর পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে।

এছাড়া মৌলভীবাজার জেলার অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র ছাড়াও শ্রীমঙ্গল উপজেলার পাশ্ববর্তী কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, নূরজাহান চা বাগান এবং মাধবপুর লেকেও পর্যটকে মুখর ছিল।

বালিশিরা রিসোর্টের পরিচালক (পরিচালনা ও প্রশাসন) জাহানারা আক্তার বলেন, ‘ব্যাপক পর্যটক সমাগম রয়েছে, তাছাড়া দর্শনার্থীও যারা রুমে একোমডেশন লাভ করতে না পারলেও লাঞ্চ ও ডিনারে এসেছেন। সেই সাথে সুইমিং পুল চালু হওয়ায় প্রচুর দর্শনার্থী দিনভর চারপাশে ঝিরি এবং সুইমিং পুলের পাশে সময় কাটাচ্ছেন। এবছর বৈশাখ মাসে এক দুই দিন বৃষ্টি হওয়াতে এই খবর যেন ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। মনে হচ্ছে শ্রীমঙ্গলের বৃষ্টি এদেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দদায়ক ব্যাপার।’

জাহানারা বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমদের বালিশিরা রিসোর্টে ১ ও ২ তারিখ শতভাগ পরিপূর্ণ রয়েছে। আগামীকাল শনিবার (৩ তারিখ) ৬০ শতাংশ বুকি নিশ্চিত হয়েছে। আশাকরি এটি উন্নীত হবে, এবং ৮০ ভাগ বুকিং কমপ্লিট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহমেদ বলেন, ‘টানা তিনদিনের ছুটি থাকলেও পর্যটক মূলত থাকে দুইদিন। তবে পর্যটক উপস্থিতি মোটামুটি ভালো রয়েছে। পর্যটক দিনদিন শ্রীমঙ্গল মুখি হচ্ছেন এটা অবশ্যই ভালো দিক। শ্রীমঙ্গলে পর্যটক আসবে, অর্থনীতির পরিবর্তন ঘটবে, স্থানীয় বেকারত্বের সমস্যা অনেকটা কমে গেছে।’

মি. সেলিম বলেন, ‘পাশ্ববর্তী দেশে ভিসা বন্ধ রয়েছে, মালদ্বীপে ঘুরতে যাবে সেটাও অনেক ব্যয়বহুল। তাছাড়া দেশের বাহিরে যাওয়ার তো সামর্থ্য অধিকাংশের নেই! একটা সময় দেখা গেছে শুধু মধ্যবিত্তরাই দেশের ভিতর ঘুরে বেড়াতো কিন্তু এখন দেশের সকল শ্রেণীর মানুষই দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শ্রীমঙ্গলে ঘরতে আসছেন, ছোট-বড় সকল ধরনের হোটেল-কটেজে সব শ্রেণীর মানুষ অবস্থান করছেন।’

আই নিউজ/আরএ

আরও পড়ুন
Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়