মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
আপডেট: ২২:৫৭, ৫ ডিসেম্বর ২০২০
বড়লেখায় মেয়র পদে ৩ প্রার্থীর লড়াই
মো. কামরান চৌধুরী, আনোয়ারুল ইসলাম,মো. সাইদুল ইসলাম
দীর্ঘ ৫ বছর পর আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বড়লেখা পৌরসভা নির্বাচন। মেয়র পদে ৩ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৯ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সবমিলিয়ে বড়লেখার আকাশে ভোটের হাওয়া বইছে।
গত ১ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বড়লেখা পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও পৌর বিএনপির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাইদুল ইসলাম গত ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকেই প্রার্থীরা ভোটের মাঠে নিজেদের অবস্থানের জানান দিচ্ছেন। তিন প্রার্থীই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চেষ্টা করছেন ভোটারদের কাছে নিজেদের "পজেটিভ" ভাবে তুলে ধরতে। তিন প্রার্থীই আশাবাদী তারা বিজয়ী হবেন।
আওয়ামীলীগের প্রার্থী আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী বলেন, আমি ২০১৫ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচিত হওয়ার পরে বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের ধারাবাহিকতায় ও পরিবেশ মন্ত্রীর সহযোগিতায় বড়লেখায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যেসব সমস্যা ছিল যানজট, জলাবদ্ধতা ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের সমস্যাসহ সকল সমস্যা সমাধানে আমরা কার্যকর সমাধান করেছি। যে কারণে আমারে পুনরায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি এসকল উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষার লক্ষ্যে বড়লেখার নাগরিকরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখার কারণে আমাকে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত করা হবে। আমার প্রতিদ্বন্দ্বি যে স্বত্বন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন তাদের মধ্যে একজন অনেক কালো টাকার মালিক, তারপরও নির্বাচনী মাঠে তিনি কোন সমস্যা নন। আর বিএনপির মনোনীত প্রার্থী তিনি গত নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছেন। এছাড়া সরকারের এসকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখে মানুষ বিএনপিকে ভোট দেয়ার মানে হয় না।
বিএনপির প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আসলে আমাদের এখানে আওয়ামী বিএনপির যুদ্ধ। মাত্র মনোননয় বৈধ হয়ে মাঠে নেমেছে। দুই চারদিন পরেই দেখতে পারবেন মূল যুদ্ধ আওয়ামী বিএনপির মধ্যে। একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন তাকে আমরা হিসাব করছি না। আমার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, গত নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী ছিলেন এবার ৩ জন। গত নির্বাচনে আমি পরাজিত হয়েছিলাম। এখানে বেশিরভাগ ভোট ডানপন্থি। গত নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় আমার কিছু ভোট ভাগ হয়ে গিয়েছিল। এবার তারা নেই। তাই আমি মনে করছি আমার অবস্থান সুদৃঢ় আছে। ডানপন্থী ভোটগুলো আশাকরি এবার আমি নিতে পারব।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, বড়লেখার মানুষ পরিবর্তন চায়। তাই আমি আশাবাদী বিজয়ী হতে পারব। ভোটারদের প্রচুর সমর্থন পাচ্ছি। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমাকে ও আমার কর্মীদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বাধা দিচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
প্রসঙ্গত, প্রথম ধাপে আগামী ২৮ ডিসেম্বর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে বড়লেখা পৌরসভার ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী ১০ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১১ ডিসেম্বর। বড়লেখা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ১৫ হাজার ৪৪৩ জন ভোটার রয়েছেন।
আইনিউজ/ওমর ফারুক নাইম
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
- করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক