নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
দেশেই মৃত্যু হয় হারিছ চৌধুরীর, সিলেটে হয়েছে দাফন
হারিছ চৌধুরী ও মেয়ে সামীরা তানজীন চৌধুরী।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও প্রভাবশালী রাজনীতিক হারিছ চৌধুরী। সিলেটের এ বিএনপি নেতা ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। সম্প্রতি তাঁর মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গণে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়। তবে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে জানিয়েছেন, দেশেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর বাবার। সিলেটের কানাইঘাটে পারিবারিক কবরস্থানে হারিছ চৌধুরীর দাফন হয়েছে।
হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে তার চাচাতো ভাই আশিক চৌধুরী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তবে সখানে ইঙ্গিত দিলেও সরাসরি কিছু বলেননি তিনি। তখন থেকে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন তার কন্যা সামীরা তানজীন চৌধুরী (মুন্নু চৌধুরী)। তিনি জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন তার বাবা হারিছ চৌধুরী। বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, বাবার মৃত্যুর পর তাকে গোসল, অন্তিমযাত্রা আর আতর-গোলাপ ছিটিয়ে অন্তিম শয়নে শুইয়ে দেওয়ার কাজটি করেছেন তিনি নিজেই। কিছু নিকটজন ও আলেম-ওলামাগণ অনেকটা গোপনেই তার বাবার জানাজায় শরিক হন। সিলেটের কানাইঘাটে পারিবারিক গোরস্হানে দাদুর কবরের পাশে বাবাকে দাফন করা হয়েছে।
হারিছ চৌধুরী ঢাকাতেই মারা গেছেন জানিয়ে তার কন্যা সামীরা তানজীন চৌধুরী বলেন-
আমার বাবা কোনো দেশেই যাননি। দেশেই ছিলেন এবং গত ১৪ বছর কখনো তাবলিগ জামাতের হয়ে দিনের দাওয়াতে গেছেন, আবার কখনো করেছেন মসজিদে ইমামতি।
সামীরা বলেন, ‘বাবা অসুস্হ হওয়ার পর আমি কয়েক ঘণ্টার নোটিশে গত ২৭ আগস্ট ঢাকায় পৌঁছাই। ততক্ষণে বাবা লাইফ সাপোর্টে। করোনা থেকে নিউমোনিয়া হয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বাঁচাতে পারলাম না বাবাকে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি এক মুহূর্ত আড়াল করতে চাইনি। সব সময় তার পাশে বসেছিলাম। ভয় আর শঙ্কা আমাদের সব তছনছ করে দিল।
সামীরা বলেন, বাবা চাইতেন, যা হয় তার ওপর দিয়ে যাক। সন্তান হিসেবে আমাদের, আত্মীয়স্বজন, এমনকি তিনি যে রাজনীতি করতেন, সেই রাজনৈতিক নেতৃত্বও যাতে তার কারণে কোনো বিপদে না পড়েন, সে জন্য কারো সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখতেন না। মাঝেমধ্যে তিনি ফোনে সবার খোঁজ নিতেন।
প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- মেয়ে মুন্নুর কথা ঠিক হলে কবে ঢাকায় এসেছেন হারিছ চৌধুরী? ঢাকায় তিনি কোথায় থাকতেন? মামলায় সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামি কীভাবে নিজেকে এতদিন আড়াল করে রাখলেন। সবকিছুই যেন রহস্যঘেরা।
এসব কারণে বিষয়টি নিয়ে মনোকষ্টে ভুগছেন সিলেট ও কানাইঘাটের বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাজনীতির বাইরেও হারিছ চৌধুরীর এলাকার লোকজন বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
তাদের ভাষ্য, হারিছ চৌধুরীর মতো একজন রাজনীতিবিদের মৃত্যু নিয়ে এমন পরিস্থিতির তৈরি করা কাম্য ছিল না। কেউ কেউ আবার এজন্য আশিক চৌধুরীকেও দোষারোপ করছেন।
আইনিউজ/এসডি
আইনিউজ ভিডিও
ওমিক্রন ঠেকাতে মাস্ক বিতরণে মাঠে ডিসি ও মেয়র
ঘোড়দৌড় : সিলেট বিভাগের সব তেজি ঘোড়া এসেছিল এই মাঠে
গ্রিসের বস্তিতে বাংলাদেশীদের মানবেতর জীবন, অধিকাংশই সিলেটি
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
- করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক