Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২৪ ১৪৩২

আইনিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫২, ২০ জুন ২০২২
আপডেট: ১২:০২, ২০ জুন ২০২২

সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সঙ্কট, নিত্যপণ্যের দাম চড়া!

সংগৃহীত

সংগৃহীত

সিলেট ও সুনামগঞ্জে আকস্মিক বন্যায় জনদুর্ভোগ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় বিশেষ করে খাদ্য ও সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। অপরদিকে খাদ্য সঙ্কটের এ চরম পরিস্থিতিতে কিছু নিত্যপণ্য পাওয়া গেলেও কিনতে হচ্ছে চড়া দাম দিয়ে। 

বন্যাক্রান্ত অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ আশ্রয়ে ঠাঁই পেলেও খাদ্য সংকট থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। সরকারের পক্ষ থেকে কিছু ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হলেও তা পর্যাপ্ত নয়।

দাবি-চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছেন না বন্যা দুর্গতরা। সুপেয় পানি না পাওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই বানের পানি পান করছেন মানুষ। ফলে পানিবাহিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও অপরিবর্তিত আছে সুনামগঞ্জের বন্যা। রাস্তা কাটায় সুনামগঞ্জ থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নীত হলেও দুর্ভোগ কমছে না বন্যার্তদের। খাদ্য সংকটের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সমস্যায়। পানিবন্দি লোকজনকে উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মাঠে নেমেছেন।

বন্যার্তদের জন্য সিলেট নগরীতে আশ্রয়কেন্দ্র খুললেও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সেভাবে দেখভাল করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। ছড়ারপার এলাকার বাসিন্দা রাশেদুল বলেন, এক দিন কেবল খাবার পেয়েছিলাম। এরপর আর কিছু পাইনি। আমরা বয়স্করা না হয় কষ্ট করে উপোস থাকলাম। কিন্তু বাচ্চারা তো থাকতে পারছে না।

সিলেট সিটির নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ ও পরিবহন শাখা) রুহুল আলম জানান, বন্যার্তদের শুকনো খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া তাদের মধ্যে রান্না করা খাবারও বিতরণ করা হচ্ছে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার সাদাত জানান, জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ রয়েছে। তবে বন্যাকবলিত এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় নৌকার সংকটে এসব ত্রাণ পাঠানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

তিনি জানান, জেলায় মোট ৩৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০টি কেন্দ্রে আশ্রয়গ্রহণকারীদের তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে রয়েছে। সে হিসাবে ২০০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৬ হাজার ৮৪৪ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতী হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে সুনামগঞ্জ। পানিবন্দী এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও সুপেয় পানির তীব্র সংকট। দ্রুত এর সমাধান করা না গেলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

বানভাসি মানুষ জানিয়েছে, বাড়িতে যেসব খাবার ছিল সেই মজুত শেষ হয়ে গেছে। নলকূপ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় এখন হাহাকার চলছে।

আইনিউজ/এইচএ

আইনিউজ ইউটিউব চ্যানেলে দেখুন দারুণ সব ভিডিও

নিরাপদ আশ্রয়ের খুঁজে ছুটছেন সিলেটবাসী | Sylhet Flood || Eye News

মৌলভীবাজারে বন্যা, জলমগ্ন টিবি হাসপাতাল রোড

Sylhet-Sunamganj Flood | ঘরে থৈ-থৈ পানি, নেই খাবার পানি, বিদ্যুৎ নেই, নেটওয়ার্ক নেই | Eye News

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়