আই নিউজ প্রতিবেদক
সিলেট বিভাগে বন্যা আক্রান্ত ৫০ লাখ মানুষ
ছবি- আই নিউজ
সিলেট বিভাগে ৫০ লাখ মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন এরমধ্যে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ২০ লক্ষ মানুষ।সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ সিদ্দীকী আজ মৌলভীবাজারে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সিলেট বিভাগে মোট আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১৭০০টি যেখানে ৬০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে, গবাদীপশু আছে ৫ হাজারটি। বন্যার্তদের জন্য পাঁচ হাজার মেট্রিকটন চাউল এসেছে। অধিকাংশই বিতরণ করা হয়েছে। এখন অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে বাড়িতে যাচ্ছে। তাদের ঘরবাড়ি আক্রান্ত হয়েছে। সেগুলো মেরামতে সময় লাগবে। আমরা সেখানেও তাদের পাশে থাকবো।
টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে গত ১৪ জুন থেকে মৌলভীবাজার জেলা বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। এতে মানুষের বাড়িঘর ও রাস্তা নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেন।
মৌলভীবাজার শহরতলির মাতারকাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন 30 টি পরিবার। সেখানে আশ্রয় নেওয়া সালামত বিবি বলেন- মাতারকাপন গ্রামে আমাদের বাড়ি। ধলাই নদীর পানি এসে ঘরে পানি উঠে পড়ে। এখন পানি নেমেছে, তবে ঘর ভেঙে গেছে, উঠানে কাঁদা। আমার স্বামী আর এক ছেলে কৃষি কাজ করে। এখন কিভাবে ঘর তৈরী করবো। আর যাবো কোথায় সে চিন্তায় আছি।
জেলা প্রশাসক ড উর্মি বিনতে সালাম জানান- জেলায় মোট বন্যা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। ২০৫ টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৬ হাজারের বেশি বন্যার্ত ও ২ শতাধিক গবাধি পশু। আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়মিত খাবার ও বিশুদ্ধ পানি দেওয়া হচ্ছে। জেলার বন্যা আক্রান্ত মানুষের জন্য ৮১৫ মেট্রিকটন চাউল, নগদ ২ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা এবং ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মৌলভীবাজারে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে শনিনার বিকাল 6 টার আপডেট রিডিং অনুযায়ী মনু নদের রেলওয়ে ব্রীজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩৫০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মনু নদের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলাই নদের রেলওয়ে ব্রীজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩৩৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদী শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জুড়ী নদীর ভবানীপুর,জুড়ী পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৯৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায় সিলেট বিভাগে বিশেষ বরাদ্ধ এসেছে। বন্যার্তদের জন্য পাঁচ হাজার মেট্রিকটন চাউল এসেছে। অধিকাংশই বিতরণ করা হয়েছে। বন্যা পরবর্তী ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সিলেট বিভাগে ১৭০০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছিলো। এখন অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে বাড়িতে যাচ্ছে। তাদের ঘরবাড়ি আক্রান্ত হয়েছে। সেগুলো মেরামতে সময় লাগবে। আমরা সেখানেও তাদের পাশে থাকবো।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’