নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের দেশে ফিরতে বাধা নেই
ভারতে অনুপ্রবেশ মামলায় মেঘালয়ের শিলং জজ কোর্ট থেকে খালাস পাওয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতিক শাখার মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, সরকার বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের দেশে ফেরার বিষয়ে কাজ করছে। আসাম থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য তাকে ট্রাভেল পাস দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে গৌহাটি মিশনকে জানানো হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পেয়ে আমাদের গৌহাটি মিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। এরপর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হবে।”
সালাহউদ্দিন কবে দেশে ফিরতে পারবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা তার ওপর নির্ভর করবে। তিনি যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারবেন।”
এর আগে দেশে ফেরত আসার জন্য ট্রাভেল পাস ইস্যু করার জন্য সালাহউদ্দিনের একটি আবেদন ঢাকায় পাঠানো হয় মতামতের জন্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে সালাহউদ্দিনকে ট্রাভেল পাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধারের পর সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পরদিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।
প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর আদালতের রায়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলায় নির্দোষ হিসেবে রায় পান সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে আবার সরকারপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। আদালত পরে তাকে বেকসুর খালাস দেয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের শিলংয়ের জজ কোর্টের রায়ে তিনি বেকসুর খালাস পান বলে জানা গেছে।
এদিকে পাসপোর্ট না থাকায় সালাহউদ্দিন দেশে ফিরতে ট্রাভেল পারমিটের জন্য গৌহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার আবেদন মঞ্জুর করে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি গৌহাটিতে সহকারী হাইকমিশনকে জানায় বলে নিশ্চিত করেছেন রফিকুল ইসলাম।
সালাউদ্দিান আহমেদ ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে আসেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে এমপি নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন।
ভারতে আটকের সময় সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতে আটক অবস্থায় বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।
আইনিউজ/ই.উ
- বরিশালে সন্ধ্যা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়লো হাঙর
- বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০২৩ ফলাফল : নৌকা ৮৭৭৫৩, হাতপাখা ৩৪৩৪৫
- গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রাপ্ত ফলাফল
- বাড়িতে ফোন দিয়ে জানলেন তিনি বাঘের থাবায় মারা গেছেন, চলছে দাফনের প্রস্তুতি
- প্রেমের টানে বরিশালে, ‘দেশি প্রেমিকের’ হাতে মার খেয়ে পালালেন ভারতীয় প্রেমকান্ত
- কুড়িয়ে পাওয়া পাঁচ লক্ষ টাকার প্রকৃত মালিককে খুঁজতে এলাকায় মাইকিং
- চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে কর্মচারীরা
- সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা স্বপ্ন-সোহাগী ঠাকুরগাঁওয়ের গর্ব
- দেলোয়ার হোসেন সাঈদী মারা গেছেন
- নির্বাচন ফলাফল লাইভ ২০২৪ | BD election result 2024