Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২২ জুন ২০২৫,   আষাঢ় ৯ ১৪৩২

ডেস্ক নিউজ

প্রকাশিত: ২১:২০, ২৬ জুলাই ২০২০

করোনার পরীক্ষামূলক টিকা নিলেন বাংলাদেশি রাহাত

বাংলাদেশের ছেলে রাহাত আহমেদ রাফি। ছবি: বিবিসি বাংলা

বাংলাদেশের ছেলে রাহাত আহমেদ রাফি। ছবি: বিবিসি বাংলা

মহামারি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে পৃথিবী। বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা। ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে যেসব প্রতিষ্ঠান তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চালাচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম চীনা কোম্পানি সিনোফার্ম। প্রতিষ্ঠানটি যৌথভাবে আবুধাবির স্বাস্থ্য অধিদফতর- সেহা এবং গ্রুপ-৪২ নামের একটি কোম্পানি এই পরীক্ষা শুরু করেছে। সে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি তরুণ রাহাত আহমেদ রাফি। 

পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন নিয়ে বিবিসি বাংলাকে অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন রাফি। তিনি বলেন, আমার কোনো ভয় লাগেনি। মানুষ তো মরণশীল। আজ হোক কাল হোক মারা যেতে হবে। এর মধ্যে মানুষের কল্যাণের জন্য যদি কিছু করতে পারি, সেটাই আমার সার্থকতা।

এর আগে চীনে এই ভ্যাকসিনের প্রথম আর দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা হয়। দুইশ’র বেশি দেশের নাগরিক থাকায় তৃতীয় দফার পরীক্ষার জন্য আবুধাবিকে বেছে নিয়েছেন গবেষকরা। তৃতীয় দফায় সফল হলে সেই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া হয়ে থাকে। আবুধাবি এবং আল আইন শহরে পরীক্ষায় অংশ নিতে সাত হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী নাম তালিকাভুক্ত করেছেন। সবমিলিয়ে ১৫ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা করানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। দেশটিতে প্রথম ভ্যাকসিন নিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রধান।

কীভাবে এই করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষায় অংশ নিলেন, সে বিষয়ে রাফি বলেন, আমি রেডক্রিসেন্টের ভলেন্টিয়ার হিসেবে এখানকার করোনা টেস্টিং সেন্টারে গত দুই মাস ধরে কাজ করছি। আমার দায়িত্ব- যারা টেস্ট করাতে আসবেন, তার নাম-ঠিকানা কম্পিউটারে তালিকাভুক্ত করা।

তিনি আরো বলেন, যখন জানতে পারলাম যে, করোনাভাইরাসের টিকার জন্য স্বেচ্ছাসেবী চাওয়া হচ্ছে, তখন আমিও ইন্টারনেটে নাম তালিকাভুক্ত করি। এরপর কয়েকদিন পরে আমার স্বাস্থ্য পরীক্ষা, করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। গত ২৪ জুলাই তারিখে আমাকে টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছে। ২১দিন পরে আবার দ্বিতীয় ডোজ দেবে।

তিনি জানান, আবুধাবিতে বিনামূল্যে টিকার পরীক্ষায় অংশ নিতে স্বেচ্ছাসেবী চাওয়ার পর হাজার হাজার মানুষ অংশ নিতে অনলাইনে আবেদন করেছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর যাদের শরীরে গুরুতর কোনো রোগ পাওয়া যাচ্ছে না, তাদেরকেই টিকা দেয়ার জন্য বাছাই করা হচ্ছে। এদের মধ্যে স্থানীয় মানুষজনই বেশি। টিকা দেয়ার পর তার হালকা মাথা ঘোরানো ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে তিনি জানান।

‘টিকা দেয়ার পর থেকেই প্রতিদিন আমাদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করছে। কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা, বর্তমানে কেমন লাগছে, সেটা জানতে চাইছে। তারা সবসময় আমাদের ফলোআপে রাখছে। তিনদিন পরপর তাদের অফিসে গিয়ে আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বলেছে, বলছেন রাহাত আহমেদ।

আগামী এক বছর এভাবে তাদের ফলোআপে রাখা হবে বলে আবুধাবির স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ধারণা দেয়া হয়েছে। আপাতত তাকে অন্যদের থেকে আলাদা থাকার জন্য বলা হয়েছে। 

তিনি ছাড়া আর কোনো বাংলাদেশি এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বলে তার জানা নেই বলে জানান- রাহাত আহমেদ।

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়