Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ২১ জুন ২০২৫,   আষাঢ় ৭ ১৪৩২

প্রবাস ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:০৭, ৩১ জুলাই ২০২০

নিউজিল্যান্ডে প্রতারণা করে ইলিশ আমদানি, প্রবাসীর জরিমানা

বিধির বাইরে গিয়ে ইলিশ আমদানির দায়ে নিউ জিল্যান্ডের প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী বড় অঙ্কের জরিমানার শিকার হয়েছেন। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল খাবার আমদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতা খান ব্রাদার্স ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডকে দেশটির ওয়েটাকেরে ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের মাধ্যমে ৬০ হাজার ডলার জরিমানা করেছে মিনিস্ট্রি অব প্রাইমারি ইন্ডাস্ট্রিজ (এমপিআই)। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান খান, যিনি জন খান নামেও পরিচিত, তাঁকে ছয় মাসের সামাজিক আটকাদেশ এবং ১২ মাসের নজরদারিতে রাখার আদেশ দেওয়া হয়। খান ব্রাদার্স ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের এই ৩৮ বছর বয়সী পরিচালককে ৭০ হাজার ৭০০ ডলারের ইলিশ বিক্রির দায়ে জরিমানা করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ৬ জুলাইয়ের মধ্যে অপ্রদর্শিত মাছ এনে বিক্রির দায় আনা হয়েছে। নিউ জিল্যান্ডের বায়োসিকিউরিটি অ্যাক্ট ১৯৯৩ ভঙ্গ করে জন খান বাংলাদেশ থেকে স্বাদুপানির ইলিশ মাছ আমদানি করেছেন বলে প্রমাণ পেয়েছেন আদালত। তিনি ওই মাছগুলোকে সারাডিনেলা লঙ্গিসেপস বা ইন্ডিয়ান সারাডিনস বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি মিথ্যা ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ৩৫০০ কেজি মাছ নিউ জিল্যান্ডে নিয়ে যান। এগুলো বিক্রি হয়েছে ডিসেম্বরের ১০ তারিখ থেকে ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত। 

এমপিআইয়ের কমপ্লায়েন্স পরিচালক গ্যারি ওর বলেন, নিউ জিল্যান্ডের বায়োসিকিউরিটি আইন ভঙ্গের বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে। কারণ নিয়মটি কোনো না কোনো কারণেই করা হয়েছে। মানুষের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো পণ্য নিউজিল্যান্ডে যিনি আনবেন এর দায় তাকেই বহন করতে হবে। 

বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ইলিশ ফেসবুকে বিক্রি করতে গেলে তা এমপিআইয়ের এক বায়োসিকিউরিটি কর্মকর্তার চোখে পড়ে। 

চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি জন খানের ভাই মশিউর খান এবং তাঁর প্রতিষ্ঠান খানস সেকেন্ড জেনারেশন লিমিটেড উভয়কেই ১০ হাজার ডলার করে জরিমানা করা হয় নিউজিল্যান্ডের বাজারে ইলিশ বিক্রির জন্য। 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

জেএ/আই নিউজ

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়