Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ১৩ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ২৯ ১৪৩২

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৫:১১, ১৮ জুন ২০২০
আপডেট: ১৩:২৯, ১৮ জুন ২০২০

সুশান্তের বাড়িতে অশ্রুসিক্ত অঙ্কিতা

সালটা ২০০৯। ধারাবাহিক ‘পবিত্র রিশতা’য় একসঙ্গে কাজ করার সূত্র ধরেই সুশান্ত এবং অঙ্কিতা কাছাকাছি এসেছিলেন। তাঁদের প্রেম ভীষণ নজর কেড়েছিল সে সময়। একে দু’জনেই উঠতি। তা ছাড়া একে অন্যের অনুপ্রেরণাও হয়ে উঠেছিলেন। একসঙ্গে থাকতেও শুরু করেছিলেন দু'জনে। দীর্ঘদিনের প্রেমের ইতি হয় ২০১৬ সালে। তাঁদের বিচ্ছেদের খবরে মন খারাপ হয়েছিল ফ্যানেদেরও।

বিচ্ছেদের পর আর কখনও এক হননি দুজন। স্বভাবতই অঙ্কিতারও আর আসা হয়নি প্রিয় মানুষটির বাড়িতে। তবে মান ভেঙ্গে এবার এলেন অঙ্কিতা, যদিও ইতোমধ্যে তার সেই প্রিয় মানুষটি চাপা অভিমান নিয়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে।

সাদা পোশাক, মাস্কে ঢাকা মুখ, এলোমেলো চুল, চোখে জলরাশির স্রোত নিয়ে  অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে এলেন তার প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখন্ডে। সঙ্গে ছিলেন সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সুশান্তের শেষকৃত্যে উপস্থিত হতে না পারলেও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলবার সরাসরি সুশান্তের বাড়িতেই আসেন অঙ্কিতা।

তাঁর ক্লান্ত চোখ তখন খুঁজে চলেছে পুরনো প্রেম, বন্ধুত্ব। পরেছিলেন শোকের পোশাক। চোখ মুচ্ছিলেন বারবার। সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে আপাতত তাঁর পরিবার রয়েছেন। এই দুঃসময়ে তাঁদের পাশে থাকার ইচ্ছা নিয়েই হাজারও ট্রোলিং, মিম, ক্যামেরাকে অবজ্ঞা করেই পৌঁছে যান এই মারাঠি মেয়ে

সুশান্ত মারা যাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও পোস্ট করেননি অঙ্কিতা। প্রাক্তনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার কিছুক্ষণের মধ্যে সংবাদটি শুনে 'হোয়াট' বলে চুপ করে গিয়েছিলেন। ব্যস, তার পর থেকে গত দু'দিন স্বেচ্ছায় ক্যামেরার অগোচরেই ছিলেন তিনি। যদিও অঙ্কিতার ঘনিষ্ঠ সুত্র থেকে জানা গিয়েছে, খবরটা পাওয়ার পর থেকেই অঝোরে কেঁদে চলেছিলেন তিনি। চেয়েছিলেন সুশান্তের শেষকৃত্যে আসতেও। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি।

২০১৬ সালে রাবতা' ছবির শুটিংয়ের সময় কৃতী শ্যাননের সঙ্গে সুশান্তের ঘনিষ্ঠতাই তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করে। অঙ্কিতা চেয়েছিলেন সুখের সংসার। সুশান্ত চেয়েছিলেন সময়।সুশান্তকে বেশি করে পাবেন বলেই, কাজ ছেড়েছিলেন, ঘর আঁকড়ে ধরেছিলেন অঙ্কিতা। তা নিয়ে তিনি সম্প্রতি মুখ খুলেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে, ‘‘কাজ যখন করতাম তখনও কোনও আক্ষেপ ছিল না। কাজ ছেড়ে যখন ঘরে মন বসানোর চেষ্টা করেছি তখনও নয়। আসলে আমার চাওয়াটাই খুব কম। যেটুকু চাই সেটুকু ভাল করে পেলেই হল।’’ বলেছিলেন, ‘‘চেনা মানুষকে বদলে যেতে দেখলাম।’’

শোনা যাচ্ছিল, সুশান্তের পর অঙ্কিতার জীবনেও নাকি নতুন স্বপ্ন নিয়ে এসেছেন রাইপুরের ব্যবসায়ী বিকাশ জৈন। এক ‘কমন’ বন্ধুর মাধ্যমে আলাপ, ঘনিষ্ঠতা এবং তাঁকেই বিয়ে করবেন বলে নাকি ঠিক করেছিলেন অঙ্কিতা। যদিও অঙ্কিতা তা কোনও দিনই স্বীকার করেননি।

প্রেমের পথে শত প্রেম বাসা বাধলেও প্রথম প্রেমের মানুষটিকে হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যে সহজ কাজ নয়, তা অঙ্কিতা আবারও প্রমাণ করে দিলেন।

 

জেএ/আই নিউজ

Green Tea
বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ