Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ১৩ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ২৯ ১৪৩২

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ২৪ জুন ২০২০

আমি এখন ভালোর দিকে: রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা

নন্দিত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা  আগের থেকে অনেকটাই ভালো আছেন। এই শিল্পীর করোনা আক্রান্তের খবরে অনেকেই উদ্বিগ্ন।

শুভানুধ্যায়ীয়দের আশ্বস্ত করে বন্যা বললেন, ‘করোনা আমাদের দেশে বেশ ভালোভাবেই ছড়িয়েছে। আমি অনেক সাবধানে থেকেও রক্ষা পাইনি। আমি এখন ভালোর দিকে। অনেকের মতো আমাকে কষ্ট পেতে হয়নি। তুলনামূলক বেশ ভালোই আছি। মানুষ আমাকে এত পছন্দ করে, তা নতুনভাবে জানলাম করোনা আক্রান্ত হয়ে। সবাই আমাকে নিয়ে বিচলিত হয়েছেন। কিন্তু চিন্তিত হবেন না। আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের দোয়ায় সুস্থ হয়ে আবার সবার মাঝে ফিরে আসব এটাই এখনকার সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা।’

গত ১৩ জুন শরীরে হালকা জ্বর ও প্রচণ্ড পেশি ব্যথা নিয়ে করোনা পরীক্ষা করান। ১৫ জুন জানতে পারেন তিনি করোনা আক্রান্ত।

তবে তিনি আগে থেকেই মানসিকভাবে শক্ত ছিলেন, এ নিয়ে মোটেও শঙ্কাবোধ করেননি। মনে সাহস নিয়ে মোকাবিলা করছেন কভিড-১৯।

গতকাল বন্যা জানান, তিনি বাসাতেই আইসোলেশনে আছেন। সার্বক্ষণিকভাবে তাকে দেখভাল করছেন ছোট বোন। আর চিকিৎসার বিষয়ে যাবতীয় পরামর্শ দিচ্ছেন দুজন চিকিৎসক। তারা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, ‘আমার সংক্রমণ অত কঠিন কিছু ছিল না। শ্বাসকষ্ট হয়নি, তবে অক্সিজেন কম পাচ্ছি, তাই এদিকটায় খেয়াল রাখতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় সাহস, শক্তি আমার গান। যেহেতু আমার গলাব্যথা নেই, তাই আমি নিয়মিতই রেওয়াজ করছি। নতুন নতুন গান তুলছি, প্রতিদিনই ক্লাস নিয়েছি অনলাইনে।

আমি যখনই ক্লাস করাই, চর্চা করি, খুব ভালো অনুভব করি; নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের যে সমস্যা, সেটাও যেন তখন বোধ করি না। গানটা অনেক বড় একটা সাপোর্ট, বড় একটা শক্তি হিসেবে কাজ করছে।’

বন্যা আরও জানান, ‘আমি বেশ ভালো খেতে পারছি। আমার মুখের রুচি একদম ঠিক আছে। আমার ছোট বোন প্রতিদিন এত মজার মজার রান্না করছে, আমার তো এই কদিনে ওজন বেড়ে গেছে।’

করোনার এ সময়ে বন্যা মসলা দিয়ে চা, লেবু, যষ্টিমধু দিয়ে চা পান করছেন। তার ছাত্রছাত্রীরাও নানা ধরনের চায়ের খোঁজ দিচ্ছে। গরম পানি পান করছেন সারাক্ষণ। আজ দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষা করানোর কথা রয়েছে বন্যার।

বন্যা বললেন, ‘আমি খুবই ভাগ্যবান। পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব সার্বক্ষণিক আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, সাহস দিচ্ছেন। যাদের হয়তো আমি চিনি না, তারাও আমার জন্য দোয়া করছেন। এটাকে আমি খুব ইতিবাচকভাবে দেখছি।

তিনি মনে করেন, এ সময়ে করোনা রোগীর পাশে থাকা মানুষের সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখা উচিত অক্সিজেন স্যাচুরেশনের বিষয়টিতে। কারণ শরীরে অক্সিজেনের স্যাচুরেশন হঠাৎ হঠাৎ কমে যায়। এটা অনেক ক্ষেত্রে টের পাই না, বুঝি না। রোগীর এই ব্যাপারে সবাই যেন সতর্ক থাকে, অক্সিজেন ঠিকমতো শরীরে কাজ করছে কি না। আমার বোন আধা ঘণ্টা পরপর আমার শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ঠিক আছে কি না, দেখত। এটা খুব ক্লোজলি মনিটর করা উচিত। এমনও দেখা যেত, রাতে দুই ঘণ্টা পরপর বোন আমি ঘুমিয়ে তাকা অবস্থায় শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক আছে কি না দেখছে।’

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ