আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপডেট: ১১:২২, ২৭ জানুয়ারি ২০২১
লন্ডনে করোনায় ৩৬১ দিনে ১ লাখের বেশি মৃত্যু
ছবি: latimes
লন্ডনে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি। সে হিসেবে দেশটিতে করোনা প্রাদুর্ভাবের এক বছর হতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এর মধ্যেই ভাইরাসটির সংক্রমণে ১ লাখেরও বেশি মৃত্যু দেখেছে দেশটি।
করোনার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার লকডাউনসহ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগ করেছে ব্রিটেন। ফলে মাঝে মাঝে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে হলেও সময়ে অসময়ে বেপরোয়া হয়েছে করোনার সংক্রমণ। যা এখনও চরমভাবে ভোগাচ্ছে ব্রিটিশদের।
লকডাউন ও জরুরি অবস্থা জারি করেও এখন নিয়ন্ত্রণে আসছে না ভাইরাসটি। প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন হাজারের বেশি মানুষ। এতে করে এক বছরের মাথায় বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে মৃতের সংখ্যা লাখ ছাড়াল ব্রিটেনে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যমতে, গত একদিনে ২০ হাজার ৮৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ লাখ ৮৯ হাজার ৭৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ৬৩১ জনের। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৬২ জনে ঠেকেছে।
অন্যদিকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনামুক্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৪ জন রোগী। এর মধ্যে গত একদিনের বেঁচে ফিরেছেন ১৪ হাজার ২৬৬ জন।
এদিকে, আশঙ্কাজনকহারে ছড়িয়ে পড়ায় ভাইরাসটি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছে। এতে করে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই আছে। এমতাবস্থায় লন্ডনে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। স্থানীয় সময় গত ৮ জানুয়ারি লন্ডনের মেয়র সাদিক খান এ ঘোষণা দেন। এ সময়ে জনসাধারণকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
সাদিক খান বলেন, ‘যেভাবে করোনা বিস্তার লাভ করেছে, তা দিনদিন নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছে। এতে করে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে হাসপাতালগুলোর শয্যা শেষ হয়ে যাবে। আমরা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছি। কারণ, আমাদের শহরে হুমকি হয়ে ওঠা ভাইরাসটির প্রকোপ সংকটময় মুহূর্তে পৌঁছে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘লন্ডনের কিছু কিছু জায়গায় প্রতি ২০ জনে একজনের শরীরে করোনা সংক্রমিত হচ্ছে। যা খুবই উদ্বেগের। অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসেও বেড়ে গেছে চাপ। দিনে আসছে ৯ হাজারের বেশি কল।’
এদিকে দেশটিতে ক্রমাগত ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেইন। টিকা প্রয়োগ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত তার সুফল তেমনটা মিলেনি বলেই জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। ফলে পরিস্থিতি আরও সংকটের দিকে পৌঁছাচ্ছে, হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন থেকে ঝুঁকি এড়াতে ১৮ জানুয়ারি (সোমবার) থেকে সব ধরনের ভ্রমণ পথ বন্ধ করেছে যুক্তরাজ্য। যা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এর মধ্যে কেউ যদি দেশটিতে প্রবেশ করতে চায় তাহলে তাকে কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে।
ব্রাজিলের করোনাভাইরাসের আলাদা এবং অজ্ঞাত এক ধরণ শনাক্ত হলে উদ্বেগ তৈরি হয় যুক্তরাজ্যে। এর ফলে দক্ষিণ আমেরিকা এবং পর্তুগালের সাথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটি। বলা হয়েছে যে, এরপরও যারা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করবে তাদের ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
আইনিউজ/এইচএ
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- পঙ্গপাল না মেরে বিক্রি করে আয় করছেন কৃষকরা!