Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৫ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ৩১ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৩৮, ৮ এপ্রিল ২০২২

তদন্তে পাওয়া গেলো হেনস্তার সত্যতা: তবে টিপ নিয়ে কি না নিশ্চিত নয়

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রোটেকশন বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল নাজমুল তারেক।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রোটেকশন বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল নাজমুল তারেক।

রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রোটেকশন বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল নাজমুল তারেকের হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। এর সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে কপালে টিপ পরা নিয়ে হেনস্তা করা হয়েছিল কি না তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি তারা।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও কিছু বিষয়ে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। আরও ২/১ দিন সময় লাগতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, তদন্তে কমিটি নিশ্চিত হয়েছে যে সেদিন কনস্টেবল তারেক ও শিক্ষিকার মধ্যে তর্কাতর্কি হয়েছিল। তবে সেটি উল্টো পথে মোটরসাইকেল নিয়ে চালানো নিয়ে। 

তিনি আরও জানান, উল্টো পথে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমে কনস্টেবল তারেককে ডাক দেন লতা। “পুলিশের লোক হয়েও উল্টো পথে দিয়ে কেন মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন”, এমন জানতে চান তিনি। এতেই তাদের মধ্যে তর্কাতর্কির সৃষ্টি হয়।

তিনি জানান, অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি দুই জনই জিজ্ঞাসাবাদে ভিন্ন ভিন্ন কথা বলেছেন। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আরও দুই একদিন সময় লাগতে পারে।

এর আগে ২ এপ্রিল সকালে কর্মস্থলের দিকে হেঁটে যাওয়ার সময় প্রভাষক ডক্টর লতা সমাদ্দারকে পুলিশের পোশাক পরা একজন ব্যক্তি “টিপ পরছোস কেন” বলে কটূক্তি করেন। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন লতা সমাদ্দার।

লতা সমাদ্দার অভিযোগ করেছেন, শনিবার সকালে কর্মস্থলের দিকে হেঁটে যাওয়ার সময় পুলিশের পোশাক পরা একজন ব্যক্তি তাকে “টিপ পরছোস কেন” বলে কটূক্তি করেন। তিনি তখন প্রতিবাদ জানালে গায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই পুলিশ সদস্য।

কি ঘটেছিল ?

এ বিষয়ে লতা সমাদ্দার বিবিসি বাংলাকে জানান, শনিবার সকালে আনন্দ সিনেমা হলের সামনে থেকে পায়ে হেঁটে তিনি তার বাসা থেকে কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন। সেজান পয়েন্টের দিকে তিনি শুনতে পান, “টিপ পড়ছোস কেন” বলে একটা গালি।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লতা সমাদ্দার বলেন, “আমি ঠিক পেছনে তাকিয়ে দেখি, একজন পুলিশ একটা বাইকের ওপর বসে আছে। আমি তার প্রতিবাদ করলে সে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে সে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে আমার শরীরের ওপর চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি সটকে যাই, কিন্তু তার বাইরের চাপা আমার পায়ে লাগে। আমার পা ইনজ্যুরড (আহত)।”

ওই সময় ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা তিনজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের কাছে গিয়ে বিস্তারিত খুলে বলেন তিনি। তারা মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তারা পারেনি। পরে তিনি কলেজে গিয়ে ভাইস প্রিন্সিপালকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। এরপর তিনি সহকর্মীদের সহায়তায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

লতা সমাদ্দার বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমি কোন দেশে বাস করছি? নারীদের নিরাপত্তা কোথায়? একজন নারী টিপ পরবে, সেজন্য তার গালিগালাজ শুনতে হবে!”

তিনি বলেন, “আমি আমার স্বামীর সঙ্গেও যে ভাষা হয়তো শেয়ার করতে পারবো না। সাধারণ মানুষ নয়, কিন্তু পুলিশের পোশাক পরা একজন লোক যখন এইভাবে আমাকে আক্রমণ করলো, আমার আর কোনো ভাষা ছিল না। আমি এর বিচার চাই। আমি চাই প্রত্যেক নারী তার স্বাধীনতা নিয়ে, স্বতন্ত্রতা চলুক।”

আইনিউজ/এসডি

আইনিউজ ভিডিও

রমজানেও ব্যবসায় ডাকাতি, শ্রীমঙ্গলের ২-৩ টাকার লেবু ঢাকায় হয়ে যায় ২০ টাকা

রোজার বাজারে ২ কেজি মাংসে ৪০০ গ্রাম কম দিলেন ব্যবসায়ী, ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান

Green Tea
সর্বশেষ