হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
রত্নগর্ভা মা বেগম নুরুন্নাহার

পুরুষতান্ত্রিক সমাজে দৃশ্যমান সব কিছুই সামলান একজন বাবা। তবে বাস্তবতা হচ্ছে একটি পরিবার বা একটি সংসারের প্রধান হচ্ছেন ব্যক্তিটি নারী।
এই নারী যখন মা হন তখন উনার দুই হাতের সাথে যোগ হয় অদৃশ্য কিছু হাত। একজন ব্যক্তি হয়েও সংসার সামলানো, সমাজ সন্তানের লেখা পড়া, সুখ শান্তির পরিকল্পনাসহ যাপিত জীবনের যাবতীয় কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন।
একজন মা বলতেই আমাদের চোখে ভেসে উঠে এমন ছবি। একজন সচেতন মা একটি পরিবার এমনকি একটি সমাজকে বদলে দিতে পারেন। তেমনই একজন মা বেগম নুরুন্নাহার।
হবিগঞ্জের মাধপুর উপজেলার সুরমা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আলম আরজুর সহধর্মী তিনি। এই মা ৪ সন্তানকে সমাজের নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্টিত করে ইতিমধ্যে রত্নাগর্ভা মা হিসেবে হবিগঞ্জের প্রশাসনের পক্ষ থেকে জয়িতার পুরুষ্কার পেয়েছেন।
৪ সন্তানের জননী বেগম নুরুন্নাহরের বড় ছেলে আশরাফুজ্জামান আশিক লেখাপড়া শেষে ৩২ তম বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজে কর্মরত ছিলেন।
পরবর্তীতে ৩৩ তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। বর্তমানে বাংলাদেশের পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল সার্কেলে কর্মরত আছেন।
আরেক ছেলে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করে নিজেকে চিকিতসা সেবায় যুক্ত করেছেন। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরকেও প্রতিষ্টিত করেছেন এই নারী ।
বড় মেয়ে নাজমুননাহার লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষকতা পেশায় নিজেকে যুক্ত করেছেন এবং এই পেশাতেই তিনি আনন্দ পান। ছোট মেয়ে বদরুন্নাহার শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় কর্মরত আছেন।
রত্নগর্ভা এই মাকে নিয়ে গর্বিত তাদের সন্তানরাও । বেগম নুরুন্নাহারের বড় ছেলে সিনিয়র পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান আশিক জানান, বাবা শিক্ষক ছিলেন তাই শিক্ষার গুরুত্ব আমাদের পরিবার খুব সহজ ভাবেই বুঝেছে কিন্তু বর্তমানে আমরা অনেকের মুখেই শুনি শিক্ষায় খুব ব্যয়বহুল। সেটা আমি মানতে রাজিনা।
‘আমার মায়ের কাছে ভবিষ্যত ছিলাম আমরা। মা মনে করতেন আমরা ভাই বোন প্রতিষ্ঠিত হলেই উনাদের ভবিষ্যৎ এবং আমাদের ভবিষত উজ্জ্বল। মায়ের উতসাহ আর পরিকল্পনায় আমাদের ভাই বোনদের এত দূর আসা। মা শুধু আমাদের লেখা পড়া করাননি আমাদের পারিবারিক যে শিক্ষা দিয়েছেন তা প্রয়োগ করেই বর্তমানে চলছি এবং আজীবন এই শিক্ষা আমাদের অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখবে।‘
‘আমাদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে গিয়ে মা নিশ্চয়ি তার ভোগ বিলাশ বা অনেক কিছুই বাদ দিয়েছেন তবে মায়ের কাছে আমরা প্রতিষ্টিত হওয়াটাই তার জীবনের সব চেয়ে বড় সুখ।‘ বলছিলেন বড় ছেলে আশরাফুজ্জামান আশিক।
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- দুলাভাইয়ের ধর্ষণের শিকার শ্যালিকা