শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
আপডেট: ১৯:২২, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
পটকা মাছ খেয়ে শ্রীমঙ্গলে বউ-শ্বাশুড়ির মৃত্যু, গুরুতর অসুস্থ ৮ বছরের শিশু
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বিষাক্ত পটকা মাছ খেয়ে মারা গেছেন বউ-শাশুড়ি। এ ঘটনায় একই পরিবারের এক শিশুও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
গতকাল বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার উত্তর ভাড়াউড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উত্তর ভাড়াউড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী সাহিদা বেগম ( ৪০) ও তার ছেলেবউ নুরুন্নাহার (২৫)। এছাড়া নুরুন্নাহারের ছেলে নাঈম (৮) গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয় প্রতিবেশি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহতরা খুবই দরিদ্র পরিবারের। সাহিদা বেগম ও নুরুন্নাহার বউ-শাশুড়ি দুইজনই মানুষের বাড়িতে কাজ করতেন। স্বামী জয়নাল আবেদীন রঙমিস্ত্রীর কাজ করেন।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বাড়িতে মাছওয়ালা পটকা মাছ নিয়ে আসে। দাম কম হওয়ায় সেটা কিনেন তারা। সে মাছ খেয়ে পরিবারের সবাই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেক আইনিউজকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) লাশ দুটি ময়না তদন্ত শেষে উত্তর ভাড়াউড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা কবরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে।
ওসি আব্দুস ছালেক বলেন, চিকিৎসকদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। পটকা খুবই বিষাক্ত একটা মাছ। খাওয়ার সাথে সাথে শরীর বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। বারবার বমি হতে থাকে। শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হয়। একটা পর্যায়ে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনায় বুধবার রাতে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান, শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেক এবং শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ভানুলাল রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পটকা মাছের শরীর আস্ত এটা বিষের থলি
পটকা মাছের শরীর আস্ত এটা বিষের থলি। টেট্রোডোটক্সিন নামে এক বিবশকারী বিষ আছে পটকায়। এই বিষ কারও শরীরে ঢুকলে মৃত্যু অবধারিত।
পটকা মাছের বিষ টেট্রোডোটক্সিন(টিটিএক্স) একটি শক্তিশালী বিষাক্ত পদার্থ যা মানুষের উত্তেজক (এক্সাইট্যাবল) সেল মেমব্রেনের সোডিয়াম চ্যানেল বন্ধ করে দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি মৃত্যু ঘটাতে সক্ষম।
এ বিষের ফলে মানুষের জিহ্বা এবং ঠোঁটের স্বাদ নেওয়ার ক্ষমতা থাকে না, মাথা ঘোরে ও বমি হয় এবং পরবর্তীতে শরীর অসাড় হয়ে আসে। সারা শরীর ঝিনঝিন করে, হ্নদস্পন্দন বেড়ে যায়, রক্তচাপ কমে যায় এবং মাংসপেশী অসাড় হয়ে পড়।
ডায়াফ্রাম অসাড় হয়ে যাওয়ার ফলে শ্বাসতন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়। তবে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার বেশি যে জীবিত থাকে সে সাধারণত বেঁচে যায়।
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
- করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক