প্রতিটি চা বাগানে স্কুল করে দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেদের কথা তোলে ধরেন চা শ্রমিকরা

চা শ্রমিক সন্তানদের সুশিক্ষিত করে তোলতে প্রত্যেকটি চা বাগানে স্কুল করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চা শ্রমিকরাও এদেশের নাগরিক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন- এদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবেনা। চা শ্রমিকরাও এদেশের নাগরিক। তাদেরও ভোটাধিকার রয়েছে। তাদের সন্তানকে সুশিক্ষিত করে তোলতে প্রত্যেকটি চা বাগানে স্কুল করে দেয়ার ব্যাপারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে ভিডিও কনফারেন্সে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চা শ্রমিক এবং এই চা শিল্প নিয়ে কাজ করে গেছেন। দেশে চা নিয়ে কোনো বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ছিলো বঙ্গবন্ধু শ্রীমঙ্গলে দেশের একমাত্র চা গবেষণা ইন্সটিটিউট গঠন করে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারও আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর মতোই বঙ্গবন্ধু কন্যাকে পাশে চান চা শ্রমিকরা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন- চা শিল্প আমাদের দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। চা বাগান দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি এই চা শিল্প আমাদের অর্থখাতের জন্যও ভীষণ দরকারি। তাই এই চা শিল্প যেন ধ্বংস হয়ে না যায় সেদিকে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য আমি আমার সকল চা শ্রমিক ভাইদেরকেও অনুরোধ জানাবো এই চা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।

চা শ্রমিকদের দেয়া চুড়ি পড়ে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী

এদিকে, শনিবার বিকাল চারটায় ভিডিও কনফারেন্স শুরু হবার কথা থাকলে বৃষ্টির কারণে কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদের সঞ্চালনায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।

পরে সঞ্চালনার দায়িত্ব নেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। তার সঞ্চালনায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেন ঋতা মানিকা, শ্যামলী গোয়ালা, রাজু গোয়ালাসহ চা শ্রমিকদের আট প্রতিনিধি। তারা চোখের জলে নিজেদের সুখ-দুঃখের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে তোলে ধরেন।

আইনিউজ/এইচএ

আইনিউজে আরও পড়ুন-